কামিন্দু লোকটা বেশ কাজের

টেস্টের জোড়া ইনিংসে সেঞ্চুরির নজীর গড়াই তো সহজ নয়, সেখানে তিনি এই কাজটা করেছেন সাত ও আট নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে।

দুই ইনিংসের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতেই সিলেট টেস্ট হাতছাড়া হতে চলেছে বাংলাদেশের। ইতিহাসে এই নিয়ে তিনবার একই টেস্টের দুই ইনিংসেই ১৫০ রানের ওপর জুটির নজীর গড়লে দুই ব্যাটার।

প্রথম নজীর ১৯৩৮ সালের। ইংল্যান্ডের এডি পেইন্টার ও পল গিব প্রথম এই কীর্তি গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ২০১৫ সালে তাঁরা প্রথম সঙ্গী পান। তাঁরা হলেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নস, প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড।

এর প্রায় নয় বছর পর বাংলাদেশ দল একই জুটির খড়গে পুড়ল। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস জুটি পরপর দুই ইনিংসে দু’টো বিস্ময়কর জুটি গড়ে বাংলাদেশের আক্ষেপ বাড়িয়ে দিলেন।

আলাদা করে এখানে বলতেই হয় কামিন্দুর কথা। টেস্টের জোড়া ইনিংসে সেঞ্চুরির নজীর গড়াই তো সহজ নয়, সেখানে তিনি এই কাজটা করেছেন সাত ও আট নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে।

ইতিহাস ঘেটে দেখা গেল এটা রীতিমত বিশ্বরেকর্ড। ১৪৭ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান সাত নম্বর কিংবা তারচেয়ে নিচের পজিশনে নেমে একই টেস্টের ২ ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন।

প্রথম ইনিংসে কামিন্দু মেন্ডিস নেমেছিলেন সাত নম্বরে, দ্বিতীয় ইনিংসে আট নম্বরে। প্রথম ইনিংসে ১০২ রানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বোলারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।

হ্যাঁ, এই টেস্টের আগে কখনওই সাদা পোশাকে তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছানো হয়নি কামিন্দুর। হবে কি করে, এই নিয়ে মাত্র দু’টি টেস্টই খেলার সুযোগ পেলেন।

অভিষেক টেস্টেই গলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি ছিল। এরপর দুই বছরের অপেক্ষা। সিলেটে সুযোগটা পেয়ে দুই হাত ধরে নিয়েছেন, দলকে ফিরিয়েও দিয়েছেন ‍বহুগুণে।

লঙ্কানরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। এই কামিন্দু হতে যাচ্ছেন লম্বা দৌঁড়ের ঘোড়া। বাংলাদেশের আক্ষেপ, শুরুর তাণ্ডবটা হল সিলেটে।

এই কামিন্দুর বিপক্ষেই মানকাডিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন পেসার খালেদ আহমেদ। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিতর্ক ছড়ালেও তাতে লাভটা হয় শ্রীলঙ্কার। কামিন্দু শেষ মেশ তাইজুল ইসলামের বলে আউট হন ১৬৪ রান করে। শ্রীলঙ্কার লিড পৌঁছায় ৫১০ রানে!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...