বয়সটা মাত্র ১৮ পেড়িয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ইউরপোর সব হেভিওয়েট ক্লাবের নজরে পড়েছেন তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচের এক তরুণ। যাকে আবার ‘নতুন মেসি’ নামও দিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। সেই আর্দা গুলারকে দলে ভেরানো নিয়ে চলছে ত্রিমুখী প্রতিযোগিতা। রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনাকে টেক্কা দিতে এসি মিলানও নেমেছে বেশ কোমড় বেধেই।
২০২১ সালেই ফেনারবাচের হয়ে অভিষেক হয়েছে গুলারের। অভিষেকের পর থেকেই সব বড় বড় ক্লাবের নজর পড়ে গুলারের ওপর। গত মৌসুমে ক্লাবকে লিগ শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকাও রেখেছেন গুলার।
গুলারের প্রতিভায় মুগ্ধ তুরস্ক সহ ইউরোপীয় ফুটবলের খোঁজ খবর রাখা সবাই। তুরস্কের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও অভিষেকটা হয়ে গেছে গুলারের। গত বছর তুরস্কের লিগে একটি ম্যাচ চলার সময় এক ভক্ত প্লেকার্ডে লিখে এনেছিলেন, ‘ আর্দা গুলার হলেন তুরস্কের মেসি।’
আপাপত এই তারকাকে দলে ভেরানোর দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে এসি মিলান। এই গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই তাকে মিলানে নিয়ে আসতে চায় তারা। গুলারের ট্রান্সফার ফি টাও বেশ কমই বলতে হবে-১৭.৫ মিলিয়ন ডলার। ব্রাহিম দিয়াজের অভাব পূরণ করতে যে করেই হোক গুলারকেই দলে চায় এসি মিলান।
গুলারকে পাবার আলোচনায় আছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাও। আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতে এবং ভবিষ্যত পরকল্পনা মাথা রেখে ভাবলে গুলারের চেয়ে কন বিকল্পই আছে কাতালানদের হাতে। রিয়াল মাদ্রিদও তীক্ষ্ণ নজর রাখছে গুলারের দলবদলের খবরে।
করিম বেনজেমা, এডেন হ্যাজার্ডের ক্লাব ছাড়ার পর আক্রমণভাগে যথেষ্ঠ বিকল্প এখন নেই রিয়ালের হাতে। তাই গুলারের মত এমন তরুণ প্রতিভাই খুঁজছে রিয়াল। আর রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের আগ্রহ থাকলে গুলারকে দলে ভেরানোটা সহজ হবে না বার্সা কিংবা রিয়াল কারো জন্যই।
গত মৌসুমে ৫১ ম্যাচে মাঠে নেমে নয় গোল ও ১২ এসিস্ট আছে গুলারের। শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে যাচাই করা সাবে না এই ফরোয়ার্ডের প্রতিভা। ড্রিবলিংয়ের অসাধারণ দক্ষতার জন্য ১৮ বছর বয়সেই দলবদলের বাজারে হট কেক এখন এই ‘নতুন মেসি’।