এক বাউন্স, দুই বাউন্স, তিন বাউন্স তবুও সেই ক্যাচ হয়েছে মিস। তিন জন প্রচেষ্টা চালিয়েও শেষ অবধি তালু-বন্দী হয়নি ক্যাচ। বাংলাদেশ দল যেন ক্যাচ মিস করবার অভিনব সব পদ্ধতি প্রদর্শনীতেই ব্যস্ত।
গতদিন তিন খানা ক্যাচ হয়েছিল মিস। স্লিপে দাঁড়িয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের পর শাহাদাত হোসেন দীপুও মিস করেছিলেন ক্যাচ। যদিও জয়ের চাইতে দীপুর ক্যাচটা একটু কঠিনই ছিল। তবুও স্লিপে দ্রুততার সাথে ক্যাচ লুফে নেওয়াই তো থাকে চাহিদা। অন্যদিকে, ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনও সেই ধারা থাকল অব্যাহত। আবারও সেই স্লিপ অঞ্চলেই ক্যাচ মিস। তিন জনের চেষ্টাতেও আউট করা যায়নি প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ১২১ তম ওভার চলমান তখন। মধ্যাহ্ন বিরতির পরের ঘটনা। এক ওভার আগেই অর্ধ-শতক করা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়েছিলেন খালেদ।
সেই স্পেলে তিনি যেন উইকেট শিকারের উদ্দেশ্যেই এসেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ১২১ তম ওভারের শেষ বলে আরও একটি উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। অফ স্ট্যাম্পের প্রলোভন দেখানো এক লাইন বরাবর বল ছুটে গেল। সেই বলে প্রবাথ ড্রাইভ খেলার লোভ সংবরণ করতে পারেননি। যা হওয়ার হয়েছিল তাই- ব্যাটের বেশ বড়সড় খোঁচা।
বল এগিয়ে যেতে থাকে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে। কোন ক্যাচ লুফে নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিনায়কের চাইতে বিশ্বস্ত হাত আর কার হতে পারে? তবে প্রথম দফায় ক্যাচ তালু-বন্দী করতে পারেননি তিনি। বল ছুটে বেড়িয়ে যাওয়ার মুহূর্তে তিনি বলকে মাটি থেকে উপড়ের দিকেই ঠেলে দিতে চাইলেন।
তাতে করে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা দীপুও চেষ্টা করেন। তিনিও ব্যর্থ হন। তাঁর হাতে বাউন্স খেয়ে বল চলে যায় তৃতীয় স্লিপের দিকে। সেখানে আবার দাঁড়িয়ে ছিলেন জাকির হাসান। তিনিও চেষ্টা করেন ক্যাচটি লুফে নিতে। তবে তিনিও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেননি। তিনি বলের নাগাল পাওয়ার আগেই তা চলে আসে মাটির সংস্পর্শে।
অগ্যতা আরও এক ক্যাচ মিসের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাংলাদেশ। কোনভাবেই যেন ক্যাচগুলো বাংলাদেশের তালুতে জমাট বাঁধতে চাইছে না। ছুটে বেড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিটা সময়। আর সেই সাথে হাত থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচেও বেশ কয়েকটি ক্যাচ ডুবিয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় টেস্টেও সেই একই দিকে ধাবিত হচ্ছে।