গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে হার্দিক পান্ডিয়া। বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক আসরে এমন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি যেকোনো দলের জন্যই সুখকর কোনো ব্যাপার নয়। তবে পান্ডিয়ার ইনজুরিতে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের মাঝে যেন নতুন এক ভাবনার উদয় ঘটিয়েছে। ভারতের স্কোয়াড কতটা সমৃদ্ধ, সেটাই পরিলক্ষিত হয়েছে।
হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরিতে কপাল খুলেছে পেসার মোহাম্মদ শামি আর ব্যাটার সুরিকুমার যাদব, দুজনেরই। বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে ব্রাত্য এ দুই ক্রিকেটারই একাদশে ফিরেছেন পঞ্চম ম্যাচে এসে। আর ফিরেই নিজেদের রাঙিয়েছেন। মোহাম্মদ শামি দুই ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে তো রীতিমত উড়ছেন। এ দিকে সুরিয়াকুমার যাদবও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৯ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।
এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই শামিকে তৃতীয় পেসার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আর একাদশ নির্বাচনে ভারত সেই তৃতীয় পেসারের অভাবটাই পূরণ করা শার্দুল ঠাকুর ও পান্ডিয়াকে মিলে। কিন্তু পুরোদস্তুর পেসার হিসেবে একাদশে একজন পেসারকে অন্তর্ভূক্ত করালে সেই পেসার কতটা প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ানক হয়ে উঠতে পারেন, তার প্রমাণ মিলেছে মোহাম্মদ শামির বোলিংয়ে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২২৯ রানের পুঁজি নিয়েও ভারত জিতেছে ১০০ রানে। যার নেপথ্যে ছিল শামির আগ্রাসী বোলিং পারফরম্যান্স। অথচ বুমরাহ-শামি-সিরাজ পেসত্রয়ীর শুরু থেকে একসাথে দেখাই মেলেনি। হার্দিক পান্ডিয়া ইনজুরিতে না পড়লে শামির এই সুযোগ গুলোও পেতেন কিনা সন্দেহ। অন্তত টিম ম্যানেজমেন্টের একাদশ নির্বাচনে শামি শুরু থেকেই পরিকল্পনার বাইরে ছিলেন।
তবে হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরি যেন ভারত পরিপূর্ণ শক্তিমত্তার একটা পথ খুলে দিল। তাঁর পরিবর্তে একাদশে ঢুকলেন শামি। ব্যাস। তিন পেসার মিলে গড়া একাদশটা ঝাঁঝ পাওয়া গেল পুরো ম্যাচজুড়েই। হয়তো একই সাথে টিম ম্যানেজমেন্টেরও নতুন একটা ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো তাতে।
এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জিতে অপরাজেয় ভারত। সেমির পথে এক পা দিয়েই রেখেছে রোহিত শর্মার দল। তবে ভারতের এই দলটা নিশ্চয়ই এখানে থামতে চাইবে না। তাদের চোখে তো বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি ছোঁয়ার দিকে। আর সেই স্বপ্ন যাত্রার একজন সারথী হওয়ার পথে রয়েছেন মোহাম্মদ শামি।