এক ক্যাচেই ম্যাচ শেষ!

পার্থ টেস্টে বড় ব্যবধানে হারার পর পাকিস্তান কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছিল পরের ম্যাচে। মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে পাক পেসাররা দারুণ শুরু এনে দেন দলকে। মাত্র ১৬ রানেই চার ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠান শাহীন শাহ আর মীর হামজা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আরো চেপে বসার সুযোগ পেয়েছিল শান মাসুদের দল, কিন্তু ফিল্ডারদের অমার্জনীয় ভুলে সেটা সম্ভব হয়নি।

ইনিংসের ১৬তম ওভার, আউটসুইং ডেলিভারিতে পিছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন মিশেল মার্শ। সহজ সুযোগ লুফে নিতে ব্যর্থ হন স্লিপে থাকা আবদুল্লাহ শফিক; তাঁর হাতের ভিতরেই বল প্রায় চলে গিয়েছিল, অথচ ধরে রাখতে পারেননি। আবার সেকেন্ড স্লিপে থাকা আঘা সালমানও চাইলে শফিকের মিসের পর ক্যাচটা ধরতে পারতেন কিন্তু দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেননি তিনি।

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন ভুল মেনে নিতে পারেননি ধারাভাষ্যকাররাও। স্টিভ ওয়াহ তো বলেই বসেন যে, পুরো সিরিজে তাঁকে (শফিক) ক্যাচ ধরতে পারে এমনটা মনে হয়নি। একই সাথে তাঁর ফিল্ডিংকে কুমিরের চোয়াল দিয়ে বল ধরার সাথে তুলনা করেন এই অজি কিংবদন্তি।

ফিল্ডিংয়ের ভুলগুলোকে পাকিস্তানের জন্য একটি ভয়ঙ্কর মুহূর্ত হিসাবে উল্লেখ করেন তিনি। এবং বলেন যে, ‘আপনি অনুভব করতে পারছেন পাকিস্তান চাপ প্রশমিত করে দিয়েছে।’

তাঁর সহকর্মী কেরি ওকিফিও সহমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘পুরো টেস্ট ম্যাচের ভাগ্য এই ক্যাচটার উপর নির্ভর, তোমার এটা ধরা উচিত ছিল। এছাড়া ও’কিফি পাকিস্তানকে ‘মারকিউরিয়াল সাইড ইন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট’ হিসেবে সম্বোধন করেন; এটি বোঝায় যে, এই দল সাফল্য পাওয়ার দাবিদার কিন্তু মুহুর্তের মাঝে বড় ভুল করে বসে।

আসলেই মার্শের ক্যাচ ছাড়া বিশাল ভুল ছিল, আর সেজন্য বড় অঙ্কের মাশুলও গুণতে হয়েছে সফরকারীদের। মাত্র ২০ রানে জীবন পাওয়া মার্শ আউট হওয়ার আগে করেছেন ৯৬ রান। স্টিভ স্মিথের সাথে তাঁর ১৫৩ রানের জুটিতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে অস্ট্রেলিয়ার হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link