তারুণ্যের খেলা টি-টোয়েন্টিতে যেন তরুণরাই বঞ্চিত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ক্ষেত্রে কথাটা যেন খুবই সত্য।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হু হু করে বাড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা। অর্থের ঝনঝনানি আর রাতারাতি তারকা তকমা পাওয়ার দৌড়ে সবার আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকে এই সীমিত সংস্করণের ক্রিকেটেই।
বলা হয়ে থাকে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট তরুণদের মেলে ধরার মঞ্চ। কিন্তু বিপিএলের চিত্রটা যেন ঠিক বৈপরীত্বে পূর্ণ। দশম আসরের সিলেট পর্বে এসেও দেখা মিলছে না নবীন কোনো ক্রিকেটারকে।
অথচ আইপিএল থেকে পিএসএলের প্রতি আসর থেকেই বেরিয়ে আসে নবাগত প্রতিভাবান ক্রিকেটার। কিন্তু বিপিএলের ক্ষেত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায় না বললেই চলে।
অবশ্য বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোই তো তরুণ ক্রিকেটারদের সেভাবে আস্থার সাথে বিবেচনা করে না। এই যেমন কিছুদিন আগেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা গিয়েছিল লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকে।
এবার বিপিএলে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলছেন। কিন্তু তিন ম্যাচের একটিতেও তিনি একাদশে সুযোগ পাননি। ব্রাত্যদের তালিকায় রয়েছেন আরও বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার।
২০২০ বিপিএলে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে এবারের বিপিএলে এসে এ ওপেনার এখন পর্যন্ত খেলার সুযোগটাই পাননি।
একই চিত্র অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলীর ক্ষেত্রেও। ২০২২ বিপিএলেও ছিলেন দারুণ ছন্দে। কিন্তু এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচেই দেখা যায়নি তাঁকে।
এই মুহূর্তে দেশের সেরা অফস্পিনারের তালিকা করলে নাইম হোসেন উপরের দিকেই থাকবেন। পেসারদের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিও বেশ সম্ভাবনা জাগানিয়া। মোদ্দা কথা, এরা সবাই জাতীয় দলের ক্রিকেটার। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, দেশের শীর্ষ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ঠাই হচ্ছে না তাঁদের।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান কখনোই ভদ্রস্থ জায়গায় ছিল না। তবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ। সেই যাত্রায় বিপিএল অবশ্যই পরখ করার একটি প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে পরীক্ষিতদের নিয়েই চলছে এ টুর্নামেন্ট।
ব্রাত্য হয়ে থাকতে হচ্ছে, যারা পারফর্ম করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। সহসাই এই চিত্র বদলে যাবে, সেটিরও সম্ভাবনা ক্ষীণ। অবশ্য ইতিবাচক রদবদলের ঘটনা কবেই বা ঘটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।