কিছু দিন আগেও সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বাবর আজমের। পাকিস্তানের এই ব্যাটার প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। ফলস্বরূপ নিউজিল্যান্ডের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁকে এক ধাপ নিচে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। যদিও সেই সিরিজ ৪-১ এ হেরে যায় পাকিস্তান। তবে ব্ল্যাক ক্যাপদের বিপক্ষে ঠিকই তিনটি অর্ধ শতক আদায় করে নেন।
এত প্রতিকুলতার মাঝেও বাবর ফিরে আসার একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। তিনি ফিরেও আসলেন রাজকীয়ভাবে। পাকিস্তান সুপার লিগে ( পিএসএল) ওপেনার হিসেবে ৪৯৮ রান নিয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে আছেন বাবর। পিএসএল-এ তার গড় রান ৬২-এর ওপরে।
পাওয়ার প্লে-তে বাজে স্ট্রাইক রেটের জন্য বাবর বেশ সমালোচিত হয়েছেন। বাবর পাল্টা জবাবে ১৪৯ স্ট্রাইক রেটে খেলে প্রমাণ করেন নিজের জাত। অবস্থা বুঝে ব্যাটিং ধরণ পরিবর্তন, উইকেটে টিকে থেকে দলকে জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে নেয়ার সক্ষ্মতা অর্জন করেন। তাঁর নেতৃত্বেই পেশোয়ার জালমি খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল।
ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে করাচি কিংসকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেন, ‘যা হয়েছে তা আমার উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করেনি।’
বাবর কখনোই নিউজিল্যান্ডের সিরিজে এক ধাপ নিচে ব্যাটিং করতে চাননি। খোলাসা করে তিনি বলেন, ‘এটা ছিল দলের ইচ্ছা, ব্যক্তিগতভাবে আমি এক ধাপ নিচে ব্যাটিং করে কখনোই সন্তুষ্ট ছিলাম না। তবে এটা আমি পাকিস্তানের জন্য করেছি।’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাবর কিছুটা খোঁচাই দিলেন পাকিস্তানের সাবেক নির্বাচক মোহাম্মদ হাফিজকে। কেননা, হাফিজই তাঁকে তাঁর পছন্দের জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছিলেন।
বাবর বলেছিলেন যে তিনি প্রতিভাবান তরুণদের সুযোগ দেয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে সেই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য তাদের প্রস্তুত হওয়া উচিত ।
বাবর বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তান দলে আসার আগে প্রতিভাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। অ্যাকাডেমিতে পাঠিয়ে স্থানীয় কোচদের হাতে তাঁরা নিজেদের গড়ে তুলতে পারেন।’
জালমিতে বাবরের ওপেনিং পার্টনার সায়িম আইয়ুব। পাকিস্তানের বাঁহাতি এই ব্যাটার গত বছর পিএসএলে দূর্দান্ত পারফর্ম করেন। গত বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় সায়িমের।
এই বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ওপেনার হিসেবে বাবরের জায়গা নেন এই সায়িম। তবে, সায়িমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা দেখেন না বাবর। বরং, তাঁর সাথে ব্যাটিং করাটাই উপভোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘ও (সাইম আইয়ুব) আগ্রাসী ব্যাটিং জানে। অন্য প্রান্তে তাঁকে পেয়ে সবসময়ই ভাল লাগে। সায়িম বল হাতেও তাঁর কারিশমা দেখিয়েছে। অফস্পিন-সহ আরো বিভিন্নভাবে বল করার সামর্থ্য রাখে সে। আমি মনে করি, ওর সুবাদে আমরা একজন অলরাউন্ডার পেয়েছি – যে বল হাতেও বেশ কার্যকর।’