দুজনেই সেঞ্চুরি করেছেন। ব্যাট উঁচিয়ে উদযাপন করেছেন। দুজনের উদযাপনের এই ছবিতে আরেকটি মিল আছে। দুজনের ব্যাটের স্টিকার’ এমকেএস’।
ধীরে ধীরে এই দৃশ্য হয়তো বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও নিয়মিত হয়ে উঠবে। আরও অনেক অনেক ব্যাটসম্যানের ব্যাটে দেখা যাবে এই স্টিকার। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে মিরপুরে যেদিন দলগুলির অনুশীলন চলছিল, অনেক ক্রিকেটারকেই দেখলাম ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ‘এমকেএস’ ব্যাট নিয়ে কথা বলতে। অনেকে অর্ডারও দিয়েছেন ব্যাট।
ইমরুল কায়েস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফতাব শাহিনের স্বপ্নের ‘মেইড ইন বাংলাদশ’ ব্যাট প্রকল্পের জন্য শুভ কামনা।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে পারভেজ হোসেন ইমন করেছেন ১২৯ বলে ১৫১, শাহাদাত হোসেন দিপু ১১১ বলে ১১৯। দুজনের উদ্বোধনী জুটি ২৪৬ রানের। পরে শেখ মেহেদি হাসানের ১৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস মিলিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব করেছে ৪৯ ওভারে ৩৮০।
মজার ব্যাপার এখানেই। ৪৯ ওভার। পুরো ৫০ ওভার খেলা হলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি হওয়া খুবই সম্ভব ছিল। ২০১৮ সালে ৩৯৩ রান তুলে যে রেকর্ডটি গড়েছিল আবাহনী। কিন্তু পুরো ৫০ ওভার হয়নি অদ্ভুত কারণে।
গাবতলীকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়েছিল লম্বা সময় ধরে। সেটির প্রভাবে যানজট ছড়িয়ে পড়ে অনেক দূর। আম্পায়ারদের মাঠে যেতে দেরি হয়, ব্রাদার্স ইউনিয়ন দলেরও মাঠে যেতে দেরি হয়। খেলা শুরু হতেও তাই দেরি হয়। ম্যাচের দৈর্ঘ্য তাই কমে আসে।
এই যানজটে আটকা পড়েই অনেক দেরিতে মাঠে পৌঁছান প্রাইম ব্যাংকের তামিম ইকবাল। বিকেএসপিতেই আরেক পাশে শাইনপুকুর ক্লাব দেরিতে পৌঁছানোয় ম্যাচ নেমে আসে ৪৭ ওভারে।
যাহোক, শেষ পর্যন্ত রেকর্ডটি হয়নি। আবাহনীর ৩৯৩ রানের পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো দলের সর্বোচ্চ দুটি ইনিংসই প্রাইম ব্যাংকের। ২০২২ সালে তারা করেছিল ৩৮৮, এবার ৩৮০।
দলীয় রানের মতো পারভেজ-শাহাদাতের ২৪৬ রানও উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে সৌম্য সরকার ও জহুরুল ইসলামের ৩১২ রান সবার ওপরে। এরপর ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের ২৯২।
– ফেসবুক থেকে