জাতীয় দলেরে বাইরে তারকাদের চেনার এর চেয়ে বড় উপলক্ষ্য নেই। সেই উপলক্ষ্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আর সেই মঞ্চের নয়া তারকা হার্শিত রানা।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের যখন এক ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন তখন বাইশ গজে ছিলেন মারমুখী হেনরিখ ক্লাসেন আর শাহবাজ আহমেদ। জয়ের পাল্লা তাই হায়দ্রাবাদের দিকেই ভারী ছিল।
বিশেষ করে ক্লাসেন যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো ১৩ রান কোন ব্যাপারই নয়। ঠিক সেই মুহুর্তে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক বল তুলে দেন হার্শিত রানার হাতে। এরপর অচেনা ছেলেটাই নায়ক বনে গেলো এক পলকে।
প্রথম বলে ছক্কা হজম করার পরও তিনি নিয়ন্ত্রণ হারাননি। পরের পাঁচ বলে স্রেফ দুই রান খরচ করে পেয়েছিলেন দুই উইকেট। তাতেই চার রানের রোমাঞ্চকর একটা জয় পেয়েছে কলকাতা।
বিধ্বংসী হয়ে ওঠা প্রোটিয়া তারকাকে যেভাবে আউট করেছেন রানা সেটা মুগ্ধ করেছে স্বয়ং শচীন টেন্ডুলকারকে। ‘এক্স’ একাউন্টে তিনি লিখেন, ‘হার্শিত রানার সাহসী বোলিং-ই ম্যাচ জিতিয়েছে। খেলার এমন একটা পর্যায়ে সে ইয়র্কারের পরিবর্তে স্লোয়ার বল করেছিল, যেটা ক্লাসেনকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছিল।’
যদিও ইনিংসের শুরুর দিকে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে আউট করার পর এই পেসার ব্যাটারের উদ্দেশ্যে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দেন। সেটি পছন্দ হয়নি আরেক কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের।
তিনি বলেন, ‘রানার এটা করা উচিত ছিল না। সতীর্থর সাথে উদযাপন করো, এমন বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রয়োজন কি?’ ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্সের নেট বোলার ছিলেন এই ডানহাতি। তবে রাশিক সালাম চোটে পড়ায় ব্যাকআপ হিসেবে তাঁকে দলে নেয় কলকাতা।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গুজরাট টাইটান্সের নেট বোলার ছিলাম। একদিন নায়ার স্যারের কাছ থেকে ফোন আসে এবং কলকাতা আমাকে দলে নেয়। সেই অনুভূতি আসলে প্রকাশ করা যায় না।’
২০২২ ও ২০২৩ সালে অবশ্য খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। দুই মৌসুম মিলিয়ে আট ম্যাচ খেলেছেন, পেয়েছেন ছয়টি উইকেট। কিন্তু তাঁর উপর পূর্ণ ভরসা ছিল দলটির সাবেক মেন্টর ডেভিড হাসির।
সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে হার্শিত নামের একটি প্রতিভা রয়েছে। শুধু বোলিং নয়, সে ভাল ব্যাটও করতে পারে। আশা করি, এক বছরের মধ্যে সে এবি ডি ভিলিয়ার্সের মত হয়ে উঠবে। কেকেআরে তাঁর ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ এবং সাফল্যময় হবে।’