ফিল সল্টের ধারাবাহিক আগ্রাসন

টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড দলের ওপেনিং পজিশনে একটা নাম নিশ্চিত, সেটি জশ বাটলার। তবে আরেকজন কে হবেন তাঁর সঙ্গী সেটি নিশ্চিত নয় এখনো। জনি বেয়ারস্টো কিংবা জেসন রয় কেউই এখন সেরা ছন্দে নেই। ঠিক এসময়টায় নিজের বার্তা দিয়ে রাখলেন ফিল সল্ট; চলতি আইপিএলে একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়ে চলছেন তিনি।

এই মৌসুমে অবশ্য ট্রাভিস হেড, হেনরিখ ক্লাসেনরা পাওয়ার হিটিংকে অনন্য রূপ দিয়েছেন। প্রতি ম্যাচেই তাঁরা হিংস্র বাঘের মত ঝাপিয়ে পড়ছেন বোলারদের ওপর, তাঁদের সাথে তাল মিলিয়ে একই কাজটা করেছেন সল্টও। সুনীল নারাইনের সঙ্গে জুটি করে চলমান টুর্নামেন্টে নিয়মিত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিচ্ছেন তিনি।

সবশেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে কেবল ১৪ বল খেলতে পেরেছিলেন এই ব্যাটার। তাতেই ৪৮ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ছুঁয়েছে। সংখ্যার হিসেবে সেটি ৩৪২.৮৬! এসময় তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা, অর্থাৎ বাউন্ডারির সাহায্যে দশ বলেই ৪৬ রান আদায় করেছেন।

প্রথম ওভারেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইংলিশ তারকা। দ্বিতীয় বলে ছয় হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন, পরের বলটাও সীমানার ওপারে পাঠিয়েছিলেন। তবে তাঁর উত্তাপে সবচেয়ে বেশি পুড়েছেন কিউই পেসার লকি ফার্গুসন, এ পেসারের ছয় বল থেকেই ২৮ রান তুলেছেন তিনি।

সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লের পূর্ণ ফায়দা তুলেছেন এই ডানহাতি। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজ তাঁকে আউট না করলে নিশ্চয়ই আরো ভয়ানক হয়ে উঠতেন তিনি। তাছাড়া ২০২৪ আইপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডও হয়তো লেখা হতো তাঁর নামের পাশে – তবু যা করেছেন সেটিও কম নয়।

কলকাতার প্রথম তিন জয়েই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ফিল সল্টের; চতুর্থ জয়ের দিন তো ম্যাচসেরার পুরষ্কারই জিতেছিলেন। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি, সেই দুই ম্যাচেই হেরেছে দলটি। অর্থাৎ বলাই যায়, তাঁর ব্যাট হাসলে হাসবে শ্রেয়াস আইয়াররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাই ইংলিশরা হয়তো স্বপ্ন বুনবে তাঁকে ঘিরে, শিরোপা ধরে রাখতে এমন একজন ব্যাটারকে অনেক বেশিই প্রয়োজন তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link