অভিষেক শর্মা, দ্য স্পেশাল ওয়ান

অভিষেক শর্মা  ফিফটি করেছেন ২১ বলে। এই মৌসুমে এটিই তাঁর সবচেয়ে ধীরগতির ফিফটি। এর আগে ফিফটি করেছিলেন ১৬ বলে ও ১৯ বলে।

তাঁর হ্যান্ড-আই কো-অর্ডিনেশন আর রিফ্লেক্স অসাধারণ। এত কুইক হ্যান্ড, এত কুইক যে অবিশ্বাস্য। ব্যাট স্পিড দারুণ তো বটেই।

তিনি আইপিএলে খেলছেন ৬ বছর ধরে। তবে প্রথম তাকে আলাদা করে চোখে পড়েছিল ২০২২ আসরে। এক ম্যাচে রাশিদ খানকে বেশ তুলাধুনা করে ছেড়েছিলেন।

তবে সত্যি বলতে, তখনও পর্যন্ত তিনি তেমন বি ধ্বং সী ব্যাটসম্যান ছিলেন না। প্রতিভার ঝলক তখনও দেখাতেন টুকটাক, হাতে শট ছিল। সঙ্গে দারুণ ফিল্ডিং ও বাঁহাতি স্পিন মিলিয়ে মোটামুটি একটা প্যাকেজ ছিলেন।

কিন্তু ব্যাট হাতে এতটা আগ্রাসী ছিলেন না। এত বেশি শট ছিল না, এতটা দু:সাহসীও ছিলেন না। এখন তো তার মন্ত্র একটাই, ‘বল জিনিসটাই পেটানোর জন্য!’

এমন টর্নেডোর আভাস অবশ্য আইপিএলের আগেই দিয়েছিলেন তিনি সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে। সেখানে পাঞ্জাবের হয়ে ১০ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ৪৫০ রান করেছিলেন ১৯২.৪৬ স্ট্রাইক রেটে।

সেই ব্যাটিংকেই আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছেন আইপিএলে। এখনও পর্যন্ত ৪৬৭ রান করেছেন ২০৯.৪১ স্ট্রাইক রেটে। এই আসরে ৩০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট আছে আর কেবল জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের (২৩৪.০৪ স্ট্রাইক রেটে ৩৩০)।

যেটা বলছিলাম, এবার তার ব্যাটিং চমকে দিয়েছে। ২০২২ আসরেও তিনি চারশর বেশি রান করেছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৩।

তাঁর কুইক হ্যান্ডের দারুণ প্রশংসা করছিলেন ব্রায়ান লারা। গত আইপিএলে অবশ্য কোচ হিসেবেও আভিষেককে কাছ থেকে দেখেছেন লারা। তার ব্যাটিং নিয়ে কাজও করেছেন। আজকেও ম্যাচ শেষ আভিষেক জানালেন, লারার সঙ্গে তার এখনও যোগাযোগ হয় এবং পরামর্শ নিয়ে থাকেন।

পরামর্শ তো এরকম কতজনই পান। কিন্তু এক মৌসুম থেকে আরেক মৌসুমে নিজের খেলা এভাবে বদলে দিতে, নিজেকে এতটা চমকপ্রদভাবে পরের ধাপে নিতে বিশেষ কিছু লাগে। ২৩ বছর বয়সী ছেলেটা সম্ভবত তেমনই একজন – ‘বিশেষ কিছু’।

– ফেসবুক থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link