খেলাধুলা এবং বৃহত্তর সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য ভিন্ন এক পদক্ষেপ নিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। মাল্টিকালচারাল অ্যাকশন প্ল্যান (এমএপি) চালু করে তাঁরা। মোট ৫৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে তাঁরা। তাঁদের মাল্টিকালচারাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনিত করে সিএ। সেই তালিকায় আছে সাবেক বাংলাদেশি অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম।
দূতদের তালিকায় অনেক অতীত এবং বর্তমান খেলোয়াড় রয়েছেন। সেই সাথে রয়েছেন শিল্প এবং বিশিষ্ট নেতারাও। যারা বৈচিত্র্যকে তুলে ধরবেন এবং বহুসাংস্কৃতিক কর্ম পরিকল্পনায় লক্ষ্যগুলি নিয়ে কাজ করবেন। দূতদের মধ্যে রয়েছেন উসমান খাজা, ওয়াসিম আকরাম, রবি শাস্ত্রীসহ আরও অনেকে।
তবে সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিদের নামও। তাঁর মধ্য আমিনুল ইসলাম বুলবুল, কিশোয়ার চৌধুরী অন্যতম। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বুলবুলের অধীনেই ১৯৯৯ সালের প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ দল। তিনি এশিয়ার জন্য আইসিসি ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করেন। ২০ টি আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশে কাজ করেছেন তিনি। আমিনুল ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য একজন আইসিসি মাস্টার এডুকেটর। কিশোয়ার একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান সেলিব্রিটি শেফ, লেখক এবং টিভি উপস্থাপক।
বোর্ডের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া মাল্টিকালচারাল অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম চালু করতে পেরে গর্বিত। প্রতিনিধি হিসাবে সরকার, ব্যবসা, খেলাধুলা, গণমাধ্যমে অবদান রাখা ৫৪ জন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।’
সরকার, ব্যবসা, সম্প্রদায়, মিডিয়া এবং ক্রিকেট থেকে আসা দূতরা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের বহুসংস্কৃতির কর্ম পরিকল্পনার পাঁচটি নির্ধারিত ক্ষেত্রে কাজ করবে। সেগুল হলো, অংশগ্রহণ, উচ্চতর পারফরম্যান্স, প্রতিনিধিত্ব, যোগাযোগ এবং অভিজ্ঞতা। তাঁদের দক্ষতার জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে ফোকাস করে রাষ্ট্রদূতরা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ল্যান্ডস্কেপ জুড়ে বৃহত্তর সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলি বলেন, ‘আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত মাল্টিকালচারাল অ্যাম্বাসেডরর মত ভিন্ন ধরণের একটি দল তৈরি করতে পেরে। তাঁদের নেতৃত্ব এবং দক্ষতা পরিবর্তন আনতে বেশ সহায়তা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাল্টিকালচারাল অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। যা সমসাময়িক অস্ট্রেলিয়ান সমাজকে প্রতিফলিত করে এবং ভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের একসাথে করে। সহযোগিতা এবং সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে, এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হল ক্রিকেট যাতে সবার জন্য একটি স্বাগত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক খেলা হিসেবে থাকে তা নিশ্চিত করা। আমাদের উদ্দেশ্যগুলি স্পষ্ট: সম্প্রদায়ের বহুসাংস্কৃতিক সদস্যদের ক্রিকেটের সাথে জড়িত হওয়ার জন্য আরও সুযোগ তৈরি করা, বাধা গুলি ভেঙে ফেলা, বিশ্বাস তৈরি করা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া।’
প্রাথমিক দুই বছরের জন্য নিযুক্ত, রাষ্ট্রদূতদের লাইনআপ বেশ বৈচিত্র্যময়। সেখানে রয়েছে ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান, পাকিস্তানি, আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান, বাংলাদেশি, নেপালি এবং আফগানি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। রাষ্ট্রদূতরা সমস্ত স্তরে ক্রিকেট এবং সমাজে বৈচিত্র্য এবং চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি মোকাবেলা করার জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতি নিশ্চিত করবে।