বিশ্বকাপের ছোঁয়া লেগেছে ক্রিকেটারদের মাঝে। তাইতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটেছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। জশ বাটলার, জনসন চার্লস আর ইমাদ ওয়াসিম বিশ্বকাপের আগেই র্যাঙ্কিংয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে এসেছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেন কড়া নাড়ছে দুয়ারে। তার আঁচ লেগেছে ক্রিকেটারদের মাঝে। সম্প্রতি প্রকাশিত আইসিসি’র টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে ৫১ নাম্বারে অবস্থান করছেন পাকিস্তানের ফখর জামান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২১ বলে ৪৫ রান করেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।
শুধুই কি পাকিস্তানের ক্রিকেটে? বিশ্বকাপের ছোঁয়া লেগেছে ইংল্যান্ডে, ওয়েস্ট ইন্ডিজেও। ইংলিশ দলপতি জশ বাটলার এক ধাপ এগিয়ে ৭ নাম্বারে উঠে এসেছেন। বার্মিংহামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ রানের ইনিংসটি তাঁকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। তাঁরই সতীর্থ জনি বেয়ারস্টোর ঘটছে আট ধাপ উন্নতি। র্যাঙ্কিংয়ে তাঁর বর্তমান অবস্থান ৩৬।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্র্যান্ডন কিং, জনসন চার্লস আর কাইল মেয়ার্স বেশ লক্ষণীয় ভাবেই তাঁদের র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি ঘটেছে। ৫ থেকে ৮ নাম্বারে উঠে এসেছেন কিং আর ১৭ ধাপ উন্নতি করে র্যাঙ্কিংয়ের ২০ নাম্বারে আছেন চার্লস। মেয়ার্সের ১২ ধাপ উন্নতি হয়েছে, উঠে এসেছেন ৩১ নাম্বারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স বেশ সাহায্য করেছে তাঁদেরকে।
গুদাকেশ মতি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যান অফ দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ থেকে ২৭ নাম্বারে উঠে এসেছেন। যা সত্যিই অসাধারণ।ইংল্যান্ডের রিস টপলি এক ধাপ এগিয়ে ৯ নাম্বারে অবস্থান করছেন।
আবার শাহীন শাহ আফ্রিদি তিন ধাপ এগিয়ে ১১ নাম্বারে উঠে এসেছেন। ইনজুরি ফেরত হারিস রউফও দুই ধাপ এগিয়ে আছেন র্যাঙ্কিংয়ের ২৫ নাম্বারে। আবার সবচেয়ে অবাক করা উন্নতি হয়েছে ইমাদ ওয়াসিমের। তিনি ১৪ ধাপ এগিয়ে এখন অবস্থান করছেন ৩৮ নাম্বারে।
বোঝাই যাচ্ছে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সবাই বেশ ভালভাবেই প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন। তবে বিশ্ব মঞ্চে প্রতিপক্ষের শিবিরে তাঁরা কতটা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।