স্ট্রাইক রেটের দিকে তাকালে তা মোটেও আহামরি কোনো পারফর্ম্যান্স নয়। তবে লিটন কুমার দাস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং করে গিয়েছেন পরিস্থিতির দাবীতে। পরিচয় দিয়েছেন স্থির মানসিকতার, করে গিয়েছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং।
লক্ষ্যমাত্রা যদিও পাহাড়সম ছিল না। তবে ১২৫ রানের মামুলি এক লক্ষ্য অতিক্রম করতে গিয়ে লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে ধ্বসে পড়তে থাকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আর তখনই ২২ গজে ত্রাতা হিসেবে আগমন লিটনের।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে থাকেন লিটন। তবে কিছু সময় পরেই শান্ত সাজঘরে ফিরে গেলে লিটনের সাথে লড়তে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। হৃদয় এসেই ঝড় তোলেন ব্যাটে। হৃদয়ের চার-ছক্কায় খেই হারাতে থাকে লঙ্কান বোলাররা। তবে লিটন ব্যাট চালাচ্ছিলেন বুঝে শুনেই।
৩৮ বলে লিটনের ৩৬ রানের এই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের সাথে হৃদয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের তুলনা হয় না। হৃদয়ের ব্যাটিং যদি জয়ের প্রভাবক হয়ে থাকে, তবে ম্যাচে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রেখেছে লিটনের এই ইনিংস। বিচক্ষণ ব্যাটিংয়ে আগলে রেখেছেন ২২ গজের এক প্রান্ত।
পরিসংখ্যান যদিও কথা বলে না লিটনের পক্ষে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে কাজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছেন লিটন দাস। তবে দলগত ৯৯ রানে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই টাইগার ব্যাটার। ততক্ষণে জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে উইকেটরক্ষকের দস্তানা হাতে ভূমিকা রেখেছেন লিটন দাস। উইকেটের পিছনে থেকে লুফে নিয়েছেন একটি ক্যাচ এবং সেই সাথে করেন একটি স্ট্যাম্পিং।
দেশের ক্রিকেটের পুরোটাতেই জড়িয়ে আছে নিরবচ্ছিন্ন ভালবাসা। দেশের ক্রিকেটাররা ভালো খেললে ভাসান প্রশংসার জোয়ারে, আবার খারাপ খেললে তাঁদেরই ডোবান নিন্দার সাগরে। তবে নামের আগে লর্ড তকমাটা সরানোর চেষ্টাই করে গেলেন লিটন কুমার দাস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬ রানের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটাই যেন তার প্রমাণ।