বার্সেলোনা কেবল লা লিগাতেই পারবে, বার্সেলোনা কেবল ছোট দলের সাথেই পারবে – হ্যান্সি ফ্লিক দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উড়ন্ত ফর্মে আছে বার্সেলোনা। অথচ নিন্দুকের নিন্দে থেমে ছিল না। তবে বায়ার্ন মিউনিখে এসে থেমেছিল সব আলোচনা, নিন্দুকের মত অনেক ভক্তিও ধরে নিয়েছিল অন্য অনেকবারের মত বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে কঙ্কালসার রূপ বেরিয়ে আসবে।
কিন্তু চায়ের টেবিলের সব আলোচনা এক নিমিষে উড়িয়ে ফেলেছেন বার্সেলোনার নবাগত অধিনায়ক রাফিনহা। ঘড়ির কাঁটা এক মিনিট হওয়ার আগেই স্কোরবোর্ডে নিজেট নাম লেখান তিনি, সেই শুরু এরপর কেবল স্প্যানিশ ক্লাবটির দাপটে নিষ্পেষিত হয়েছে বায়ার্ন।
হ্যারি কেইন সমতায় ফিরিয়েছিলেন বটে; প্রথমবার গোল বাতিল হয়েছে অফ-সাইডে, হাল না ছেড়ো আবারো গোল করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতটুকুই, পুরো ম্যাচে তাঁর দল আনন্দের আর কোন উপলক্ষ খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে, সমর্থকেরা খুঁজে পায়নি প্রত্যাশার সঙ্গে তাঁদের পারফরম্যান্সের মিল।
বিরতির আগেই বার্সা আসলে ম্যাচ হাতের মুঠোয় পুরে ফেলেছিল, প্রথমে রবার্ট লেওয়ানডস্কির গোল থেকে এগিয়ে যায় তাঁরা। তারপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মার্ক ক্যাসাদোর দুর্দান্ত একটা লফটেড পাস থেকে ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিটের মাথায় বাকি কাজটাও সারেন তিনি; ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলের মত প্রায় একই জায়গা থেকে জালের ঠিকানা খুঁজ নেন, পূরণ করেন হ্যাটট্রিক।
বার্সেলোনা বনাম বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচ মানেই বর্তমান প্রজন্মের কাছে বায়ার্ন মিউনিখের একচ্ছত্র আধিপত্যের আখ্যান। ৮ – ২ কিংবা এরপরের ম্যাচ দেখা যে কেউ অন্তত এভাবেই ভাববে। কিন্তু কিউলরা এবার একবার ভাগ্য ধন্যবাদ দিতেই পারে, কারণ তাঁদের দলে রাফিনহার মত একজন ছিলেন যিনি সব ভাবনার প্রতিকূলে গিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়েছেন।
ধন্যবাদ দিতে হয় হ্যান্সি ফ্লিককেও; রাফিনহাকে ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারা, ইনজুরিতে বিপর্যস্ত একটা দল নিয়েও আগ্রাসী হয়ে ওঠা সবকিছু কৃতিত্ব তো এই ভদ্রলোকেরও। ধুঁকতে থাকা ন্যু ক্যাম্প তাঁর অধীনেই সমৃদ্ধ দুর্গ হয়ে উঠেছে।