অবিশ্বাস্য একটা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পরিসংখ্যান মতে, তিনি এই সময়ের অন্যতম সেরা টেস্ট অলরাউন্ডার। মেহেদী হাসান মিরাজ, নাম তো সুনাই হোগা! সেই নামের পাশে আরেকটা সেঞ্চুরি লেখা হতে পারত।
হল না, সব লড়াইয়ের শেষে লেখা থাকে না সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি থেকে যখন তিনি রান দূরে তখন তাকে থেমে যেতে হল। চতুর্থ দিনের শুরুতে মাত্র ২৪ রান যোগ করেই থেমে যেতে হয় বাংলাদেশ দলকে।
বোর্ডে বাংলাদেশ জড়ো করতে পারে ১০৫ রানের লিড। আর এখানে সবচেয়ে বড় অবদান ওই মেহেদী হাসান মিরাজের। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দুয়ারেই ছিলেন তিনি। কিন্তু, অপর প্রান্তে থেকে একের পর এক উইকেট পতন হচ্ছে।
ওই সময় যেন একটু তাড়াহুড়াই করতে গেলেন। ক্যাগিসো রাবাদার বলে স্লিপের ওপর দিয়ে মারতে গেলেন, ওখানেই বিপদ। সেঞ্চুরির স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। বাংলাদেশের ম্যাচ বের করার স্বপ্নও সম্ভবত ওখানেই শেষ।
সাকিব আল হাসানের জায়গা নিতে পারবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরপুর টেস্ট শুরুর আগেই বলেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই পথেই আছেন মিরাজ। ব্যাটে কিংবা বলে – এই সময়ে অন্তত দু’টো ফরম্যাটে অনবদ্য তিনি।
ওয়ানডের ম্যাচ উইনার তিনি। এবার সেই লড়াইটা টেস্টেও দেখা যাচ্ছে। লড়াকু এই মিরাজের যাত্রা গুলো আরও সুন্দর হোক। লড়াইয়ের শেষে সেঞ্চুরি না আসলে না আসুক, আসবে পরম আকাঙ্ক্ষিত জয়। আর সেঞ্চুরির চেয়ে জয়টাই যে বেশি জরুরী বাংলাদেশের জন্য সেটা কে না জানে! অন্তত মিরাজের মত ম্যাচ উইনার তো জানেনই।