আর কত ভাবে বিশ্বসেরা হবেন এমি!

তিনি যে বিশ্বসেরা, সেটা প্রমাণের জন্য আর কি করা চাই বলুন তো?

তিনি যে বিশ্বসেরা, সেটা প্রমাণের জন্য আর কি করা চাই বলুন তো? পরপর দুইবার বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরষ্কার উঠেছে তার হাতে। ফ্রান্স ফুটবল প্রদত্ত লেভ ইয়াশিন ট্রফি জিতেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সাবেক ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলারদের ভোটে একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে টানা দুই বার জিতছেন তিনি।

ভিনিসিয়াস-কে নিয়ে সরগরম গোটা ফুটবল বিশ্ব। কেন তিনি ব্যালন ডি’অর পেলেন না সে নিয়ে সমালোচনার কোন অন্ত নেই। সেসবের মাঝে যেন এমিলিয়ানোর কীর্তি ঢাকা পড়েছে। তাকে নিয়ে কারও যেন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু এতটাও আড়ালে থাকার মত চরিত্র তো তিনি নন।

গেল বছর কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন তার দলকে। রীতিমত চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টি ম্যাচেই তিনি রেখেছিলেন ক্লিনশীট। ২০২১ সালের পর আবারও কোপা জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। দলের গোলবার আগলে রেখেছিলেন তিনি ফাইনাল ম্যাচেও।

আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে তিনি প্রচণ্ড ভয়ংকর। প্রতিপক্ষের জন্যে দস্যুর সামিল। পেনাল্টি শ্যুটে দুর্ভেদ্য। প্রতিপক্ষের মস্তিষ্ককে ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলতে পারেন দিবু মার্টিনেজ। ক্লাব পর্যায়ে তিনি যথাযথ আলোকরশ্মি পান না। স্রেফ আধুনিক গোলকিপার নন তিনি সেজন্য।

আধুনিক সুইপার কিপারদের মধ্যে তিনি বড্ড বেশি সেকেলে। সেজন্যই খবরের হেডলাইন হতে হলে তাকে বরাবরই করতে হয় অতিমানবীয় কিছু একটা। সেটাও তিনি করেছেন গেল বছর। তার দল অ্যাস্টন ভিলাকে ১৫ ম্যাচে গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে। তাতে করে অবিশ্বাস্যভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিয়েছে তার দল।

এমন একজন গোলরক্ষককে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। তবে সাবেক বর্ষসেরা ফুটবলারদের তাকে নিয়ে যেন দ্বন্দ্ব নেই। তাইতো ইয়াশিন ট্রফি তার হাতেই শোভা পাচ্ছে। ২০২০ সালের পর থেকেই ভাগ্য বদলের শুরু এমিলিয়ানোর। অ্যাস্টন ভিলা যেন মার্টিনেজের সঞ্জীবনী সুধা। নতুবা হারিয়ে যাওয়ার পথটাও খোলা ছিল তার জন্য।

এমিলিয়ানো অনুপ্রেরণার এক জীবন্ত চরিত্র। সম্ভাবনার প্রদীপ প্রায় নিভে যাওয়ার মুহূর্তে কি করে জ্বলে উঠতে হয়, তা দেখিয়েছেন মার্টিনেজ। সেই প্রদীপ যে একদিন ভুবন জুড়ে আলো জোগাবে, তা তো অবধারিত। সে আলোই ছড়িয়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার নিজস্ব বাজপাখি।

Share via
Copy link