আইপিএলের জঘন্যতম বোলিং

এখানে খেলতে আসা প্রত্যেক ক্রিকেটার একটু হলেও চাপে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সব ক্রিকেটারই আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা পারফর্ম করতে চায়। কিন্তু, ভাগ্য সব সময় সহায় হয় না। এখানেও মাঝে মধ্যে কিছু ক্রিকেটার খেই হারিয়ে ফেলেন।

মাঠে নামার সময় প্রত্যেকটা খেলোয়াড় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে মাঠে নামে ভালো খেলবে বলে। কিন্তু এটা সত্যি যে, প্রত্যেকদিন ক্রিকেটাররা ভালো খেলতে পারেন না। কোনো না কোন দিন বেশ খারাপ পারফর্মেন্সের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এমন একটি টুর্নামেন্ট যেখানে সব ক্রিকেট প্রেমীদের নজর থাকে। তাই এখানে খেলতে আসা প্রত্যেক ক্রিকেটার একটু হলেও চাপে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সব ক্রিকেটারই আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা পারফর্ম করতে চায়। কিন্তু, ভাগ্য সব সময় সহায় হয় না। এখানেও মাঝে মধ্যে কিছু ক্রিকেটার খেই হারিয়ে ফেলেন। যাই হোক, আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বোলিং ফিগারগুলোর দিক নজর দিয়েছে খেলা ৭১।

  • বাসিল থাম্পি

আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছিলেন বাসিল থাম্পি। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের এই পেসার ৪ ওভারে ৭০ রান দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে এই বাজে রেকর্ডের শিকার হন বাসিল থাম্পি। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ৬ টি ছক্কা এবং ৫ টি চার মেরেছিলো ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা। এছাড়াও এই ম্যাচে উইকেট শুন্য ছিলেন বাসিল থাম্পি।

  • ইশান্ত শর্মা

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে থাকাকালীন সময়ে আইপিএলে নিজের সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেন ইশান্ত শর্মা। ২০১৩ সালে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় চেন্নাই সুপার কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এই ম্যাচে এই দীর্ঘদেহী বোলার ৪ ওভার বোলিং করে ৬৬ রান দেন।

ইশান্ত শর্মার এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিং রেকর্ডের দিক থেকে দুই নাম্বারে অবস্থান করছে।

  • মুজিব উর রহমান

মুজিব উর রহমান, আফগান স্পিনার। তিনি আইপিএলে খেলেছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস) এর হয়ে। আইপিএল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং করেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে।

এই ম্যাচে চার ছক্কা এবং পাঁচ চারের সাহায্যে তাঁর করা ৪ ওভারে ৬৬ রান তুলে নেয় হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানরা।

  • উমেশ যাদব

উমেশ যাদব যখন আইপিএল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খরুচে ইনিংসে বল করেন তখন তিনি খেলতেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে। ২০১০ সালে দিল্লির অরূণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিলো দিল্লি এবং ব্যাঙ্গালুরু।

এই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের কাছে পাঁচটি করে চার এবং ছক্কা সমন্বয়ে ৪ ওভারে ৬৫ রান দেন তিনি। এই ম্যাচে উইকেট শুন্য ছিলেন তিনি।

  • সন্দ্বীপ শর্মা 

সন্দ্বীপ শর্মা যখন এই বাজে রেকর্ড করেন তখন তিনি খেলতেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে। ২০১৪ সালের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে ইনিংসে বল করেন তিনি। এই ম্যাচে ৪ ওভারের কোটা পূরন করে রান দিয়েছিলেন ৬৫ রান।

সন্দ্বীপ শর্মা চার ওভারে ৬৫ রান দেবার পরও পকেটে এক উইকেট ভরেছিলেন।

  • সিদ্ধার্থ কাউল

সিদ্ধার্থ কাউল আইপিএলে নিজের বাজে বোলিং করার রেকর্ড গড়েন ২০২০ মৌসুমের আইপিএলে। এই আইপিএলে তিনি মাঠে নেমেছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে এই বাজে রেকর্ডের শিকার হন তিনি।

এই ম্যাচে তিনি ৪ ওভারে ৬৪ রান দেন। এতো বেশি রান দেবার পরও দুই উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।

  • বরুণ অ্যারন

দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ক্রিকেটার বরুণ অ্যারন এই বাজে রেকর্ড করেন । ২০১২ সালে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামের মুখোমুখি হয়েছিলো দিল্লি এবং চেন্নাই।

এই ম্যাচে চার ওভারে ৬৩ রান দিয়েছিলেন বরুন অ্যারন। ৬৩ রান দেওয়ার পাশাপাশি দুই উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।

  • অশোক দিন্দা

অশোক দিন্দা আইপিএলে অনেকবারই খরুচে বোলিংয়ের জন্য ট্রলের শিকার হয়েছেন। আইপিএল ক্যারিয়ারে তাঁর সবচেয়ে খরুচে ইনিংস ছিলো ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে পুনে ওয়ারিয়র্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচে।

এই ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে চার ওভারে ৬৩ রান দিয়ে উইকেট শুন্য থাকেন তিনি।

  • মাইকেল নেসের

অন্যান্য সব বোলারদের মত এতো পরিচিত বোলার নন মাইকেল নেসের। তিনি ২০১৩ আইপিএল মৌসুমে খেলেছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে।

ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে খরুচে বোলিং করেন মাইকেল নেসের। এই ম্যাচে চার ওভার বোলিং করে ৬২ রান দেন তিনি। ৬২ রান দিয়ে উইকেট শুন্য ছিলেন তিনি।

  • টিম সাউদি

নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা বোলার। তিনি ২০১৯ মৌসুমে খেলেছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে।

এই মৌসুমে কলকাতার বিপক্ষে বেশ খরুচে বোলিং করেন তিনি। কলকাতার বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে ৬১ রান দেন সাউদি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...