সুদিন না থাকলেও দেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বলেও আশায় আছে পাকিস্তান। যদিও, এখনও চূড়ান্ত হয়নি স্কোয়াড! সবাইকে চমকে দলে ঢুকে যেতে পারেন বেশ কিছু খেলোয়াড়। তেমনি চারজনকে নিয়ে খেলা ৭১-এর এবারের আয়োজন।
- শাদাব খান
একটা সময়ে পাকিস্তানের স্পিন বিভাগের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন সাদাব খান। তবে ২০২৩ সাল থেকেই খারাপ ফর্মের জন্য ওয়ানডেতে দলের বাইরে তিনি। ৭০ ওয়ানডেতে ৮৫৫ রান আর ৮৫ উইকেটের মালিক, সাদাব এখনো দলের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ই।
দলের মিডিল অর্ডারের স্ট্রাগল আর শাদাবের ব্যাট-বলে ঝড় তোলার দক্ষতা তাকে আবারও দলে ফেরাতে পারে। তার অভিজ্ঞতা আর চাপের মূহুর্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার গুন দলে তার পজিশনটাও পাকা করে দিতে পারে।
- ইমাম উল হক
ওয়ানডেতে ৪৮.২৫ গড়ে ৩১৩৮ রান ইমাম উল হকের। যদিও তিনি সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ইনজুরির কারনে ছিটকে গেছেন সায়েম আইয়ুব। ফর্মে নেই আব্দুল্লাহ শফিকও। এতেই ভাগ্য খুলে যেতে পারে ইমামের। জায়গা পেয়ে যেতে পারেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও।
- উসামা মীর
দলে ফিরতে পারেন তরুন প্রতিভাবান স্পিনার উসামা মীরও। ১২ ওয়ানডেতে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ভ্যারিয়েশন দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কাবু করতে পটু তিনি। লিস্ট এ ক্রিকেটে আছে ৫৮ ম্যাচে ৮৬ উইকেট। একদমই অনভিজ্ঞ আবরার আহমেদ আর সুফিয়ান মুকিমের বদলে দলে জায়গা হয়ে যেতে পারে তারও। কেননা আবরার আর সুফিয়ান মিলে যে সবে খেলেছেন মোটে ৫টি ওয়ানডে। অভিজ্ঞতার ভারে তাই বেশ এগিয়ে উসামা।
- খুশদিল শাহ
সবথেকে বড় চমক হতে পারেন খুশদিল শাহ। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এ ব্যাটে বলে রীতিমতো ঝড় তুলছেন তিনি। ৯ ম্যাচে ৭২ গড়ে এখন অবধি রান করেছেন ২৮৮। স্ট্রাইকরেটটা দুইশো ছুৃঁইছুৃঁই। বল হাতেও ভেলকি দেখাচ্ছেন তিনি। এখন অবধি মোটে ১০.৭১ গড়ে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। জাতীয় দলে ওয়ানডেতে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ২০২২ সালে। এবার ব্যাটে-বলে ধারাবাহিক পারফর্ম করে দলে নিজের জায়গাটা যেন নিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি।
