জাওয়াদ আবরার, তরুন, সম্ভাবনাময়, আগ্রাসী, যুব এশিয়া কাপ জয়ী ওপেনার। নেই কোন চোট ইস্যু, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কথাও বড় গলায় দাবী করেন নি কেউ। তবুও সিলেট স্ট্রাইকার্স দলের সাথে থেকেও যেন নজরেই পড়ছেন না জাওয়াদ।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ ব্যাটিং গড় এবং ১৪১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে বিপিএল ড্রাফটের বাইরে থেকেই সুযোগ পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্স ফ্রাঞ্চাইজিতে। সিলেটের টপ অর্ডারও হালকা বাতাসে ভেঙে পড়েছে প্রতিটা ম্যাচেই। জাওয়াদের গল্পটা এখান থেকেই শুরু হতে পারত। একটা সুযোগ বদলে দিতে পারত জাওয়াদ এবং সিলেটের ভাগ্যরেখা।
কিন্তু জাওয়াদ সিলেটের ম্যানেজমেন্টকে ‘সন্তুষ্ট’ করতে পারেন নি। কিংবা চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের মত ব্যক্তিগত ভাবে সন্তুষ্ট হতে পারেন নি সিলেটের মালিকও। টপ অর্ডারের ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থতা, দলের অবস্থান তলানিতে, জাওয়াদের স্ট্যাটস কিংবা হিটিং রেপুটেশন, আর কিভাবে সন্তুষ্ট হতে পারত সিলেটের ম্যানেজমেন্ট!
না কি দলের সাথে টেনে বেড়ানো জাওয়াদকে চোখেই পড়ে নি ম্যানেজমেন্টের? বাংলাদেশের প্রচলিত চর্চা অনুযায়ী চেহারা কালো হলে অনেক সময় কর্তাব্যক্তিদের চোখে পড়েন না খেলোয়াড়েরা। জাওয়াদের ক্ষেত্রে তেমনটাও বলা যাচ্ছে না। রীতিমত সুদর্শন এই যুবক। চলনে-বলনে রয়েছে স্মার্টনেসের ছোঁয়া।
তবে কি আহমেদ শেহজাদের দাবীই সঠিক? সুদর্শন হওয়াও ম্যানেজমেন্টের চক্ষুশূল হওয়ার কারণ হতে পারে? রাজশাহীর বিপক্ষে দুই ‘মিনি অলরাউন্ডার’ আরিফুল, শেনওয়ারি ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করতে নেমেছেন, টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট থেকে বিচ্যুত, এনসিএল টি-টোয়েন্টি ৪ ম্যাচে ২০ রান করা, ৩৫ বছর বয়সী ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, সাজ্জাদুল হক রিপন।
পাকিস্তানি অপরিচিত মহাতারকা আহসান ভাট্টি, কিংবা ক্যারিবিয়ান ‘এলিয়েন’ ক্যাডিম অ্যালিয়েন, সবাই আছেন একাদশে, নেই কেবল জাওয়াদ আবরার। স্পট ফিক্সিং, বেতন সমস্যাসহ অনেকগুলো কারণেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো রয়েছে বিসিবির একাধিক তদন্তের মুখে।
আর একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠিত হতে পারে, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সন্তুষ্ট করার পদ্ধতি নিয়ে। তাতে জাওয়াদ আবরারদের একাদশে সুযোগ না মিললেও অন্তত জানা যাবে মালিক সন্তুষ্টকরণ ফর্মূলা। জাওয়াদও ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হয়ে ফর্মুলা খুঁজতে পারেন একাদশে সুযোগ পাওয়া এক একজন মহাতারকার থেকে।
