নব্বই বিশ্বকাপে গোলপোস্টের নিচে প্রাচীর হয়ে উঠেছিলেন সার্জিও গয়কোচিয়া। তার পেনাল্টি বীরত্বে ফাইনালে উঠেছিলো আর্জেন্টিনা।
এতোগুলো বছর পর সেই স্মৃতি ফেরালেন যেনো এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার ওপর ভরসা করা লোকের সংখ্যা কমই ছিলো। সার্জিও রোমেরোর পর আর্জেন্টিনার গোলপোস্ট অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে মার্টিনেজ হয়ে উঠলেন বীর। আর তার তিন পেনাল্টি সেভে পথ খুজে পেলো আর্জেন্টিনা। আবারও ফাইনালে উঠলো লিওনেল মেসির দল।
আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠার ভেতর দিয়ে নিশ্চিত হলো ‘সুপার ক্লাসিকো’ ফাইনাল। আগে থেকেই ফাইনালে উঠে বসে আছে নেইমারের ব্রাজিল। ফলে ১০ তারিখে লাতিন আমেরিকার দর্শকপ্রিয় দুই দলের ফাইনাল দেখার রোমাঞ্চর জন্য অপেক্ষা চলবে বিশ্বের।
আজেন্টিনা নব্বই মিনিটেই ম্যাচ জিতে যেতে পারতো। যদি লাউতারো দুটি, ডি মারিয়া একটি মিস না করতেন এবং মেসির বল পোস্টে না লাগতো। লাউতারো প্রথম মিস করেন খেলার শুরুতেই। তিন ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে দূরন্ত এক পাস দেন মেসি। কিন্তু লাউতারো গোল করতে পারেননি।
খানিক পরই অবশ্যই এই স্ট্রাইকার প্রায়াশ্চিত্য করেন। লো সেলসোর দারুন পাস রিসিভ করেন মেসি। মেসি বল দেন লাউতারোকে। আর এবার গোল। এই নিয়ে মেসি ৫টি অ্যাসিস্ট করলেন। সাথে আছে ৪টি গোল। ফলে আর্জেন্টিনার ১১ গোলের ৯টিতেই সরাসরি মেসির অবদান রইলো।
এরপর খেলা জুড়ে আর্জেন্টিনার মিস ও কলম্বিয়ার মারাত্মক শারীরিক আক্রমণ চলেছে। কলম্বিয়া মূলত রক্ষনাত্মক ফুটবল খেলেছে। ফাকে ফাকে কাউন্টার অ্যাটাক করার চেষ্টা করেছে। আর সবচেয়ে বেশি করেছে ফাউল। আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভাগকে শরীর দিয়েই আটকে রেখেছে। এর মধ্যে ওটামেন্ডিকে বক্সে জার্সি টেনে ফেলে দেওয়ার পরও পেনাল্টি পায়নি আর্জেন্টিনা।
এর মধ্যে খেলায় সমতা ফেরায় কলম্বিয়া। শেষ দশ মিনিটে জয়ের জন্য প্রানপন চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। মেসি দুটো ফ্রি কিক পেলেও গোল হয়নি। খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। আর এখানেই হিরো হয়ে ওঠেন মার্টিনেজ।
শুরুতে মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করেন। কলম্বিয়ার কুয়াদ্রাদোও গোল করেন। এরপর পরপর দুটো পেনাল্টি আটকে দেন মার্টিনেজ। খেলা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু দি পল আর্জেন্টিনার হয়ে মিস করেন। এরপর লাউতারো ও পারদেস গোল করেন। আর কার্দোনার শেষ পেনাল্টি আটকে দেন মার্টিনেজ। ফলে ৩-২ ব্যবধানে ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।