‘যতই কথা বলি কোন লাভ নেই’

মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের জন্য সমীকরণটা বেশ সহজই ছিল। কেননা সকালে নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ফলে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই মিলতো সেমিফাইনালের টিকিট। সেই লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুটাও ব্যাটাররা একেবারে মন্দ করেননি। প্রথম দশ ওভার শেষে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করেছে বাংলাদেশ। তবে এরপরই ছন্দপতন। বিশেষ করে সাকিবের আউটটা ছিল ম্যাচের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট।

শাদাব খানের ওভারে পরপর দুটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ। প্রথমে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন সৌম্য সরকার। এরপরই সাকিবের সেই বিতর্কিত আউট। সাকিব আউট হয়ে যাবার পর আজ আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে মাত্র ১২৭ রানে। অথচ মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা দায়িত্ব নিলে ম্যাচটা জিততেও পারতো বাংলাদেশ। অ্যাডিলেডের উইকেটে আজ খুব বেশি সাহায্য পাচ্ছিলেন না ব্যাটাররা।

ফলে বাংলাদেশের ম্যাচ হারের পেছনে অনেকেই দায়ী করছেন সাকিবের আউটকে। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত না আসলে হয়তো অন্য রকম হতে পারতো ম্যাচের চিত্রনাট্য। তবে এসব নিয়ে খুব একটা আলোচনা করতে চান না নাজমুল হোসেন শান্ত। কারণ তিনি মনে করেন আলোচনা করে তেমন কোন লাভ হবে না।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। এগুলা আমাদের কন্ট্রোলেও নেই। এটা পুরোটাই আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি যারা আছেন তাদের সিদ্ধান্ত। জিনিসটা হল যে আমরা যতই আলোচনা করি, যতই কথা বলি কোন লাভ নেই। বলবো না আমরা ড্রেসিং রুমে খুব বেশি কথা বলেছি বা আলোচনা করেছি। করলেও খুব বেশি লাভ নেই আসলে।’

ওদিকে বড় দলের বিপক্ষে জয় না পেলেও শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সেমিফাইনালের রেসে ছিল বাংলাদেশ। ভারতের সাথে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এটাকেই বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মনে করছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সাকিব বলেন, ‘ফল হিসেবে আমাদের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম, আরও ভালো করতে পারতাম। তবে নতুন খেলোয়াড় এসেছে, অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এর চেয়ে কম (বেশি) আশা করতে পারি না।’

তবে আজকের ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে সাকিবের কন্ঠে। আজ নাজমুল হোসেন শান্ত বাদে কেউই খুব বেশি ভাল করতে পারেননি। নাহলে বাংলাদেশের স্কোর আরও বড় হতে পারতো।

সাকিবের ব্যাটারদের পারফর্মেন্স নিয়ে বলেন, ‘ইনিংসের মাঝপথে ৭০ রানে ১ বা ২ উইকেট ছিল আমাদের। ১৪৫-১৫০ রানের মত করতে চেয়েছিলাম। এ পিচে সেটি ভাল একটি স্কোর হত। প্রথম ম্যাচ দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের। ইনিংসের পরের ১০ ওভারে রান করা কঠিন। সব সময়ই জানতাম, নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে। ফলে থিতু ব্যাটসম্যানদের কাউকে শেষ পর্যন্ত থাকাটা দরকার ছিল। সেটি হয়নি।’

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link