গুঞ্জনটা আগে থেকেই ছিল। পর্তুগালেও সমালোচনা হচ্ছিল রোনালদোকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়ে। আগের ম্যাচে রোনালদোকে ৬০ মিনিটের পর মাঠ থেকে উঠিয়ে নেবার পর রোনালদোর অভিব্যক্তি আর ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সেই অভিব্যক্তি নিয়ে সান্তোসের অসন্তোষ, সব মিলিয়ে সিদ্ধান্তটি অনেক আলোচনার খোড়াক যোগালেও ম্যাচের পর সান্তোস জানান সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি ‘কৌশলগত’।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পর্তুগালের একাদশের দিকে নজর ছিল সবার। কোচ সান্তোস বড় সিদ্ধান্তটি নিয়েই নিলেন। প্রথম একাদশে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে বাদ রেখে নামালেন রামোসকে। যার অসাধারণ নৈপুণ্যে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পর্তুগাল। তরুণ গনসালো রামোস করেন হ্যাট্রিক। ম্যাচ শেষে সান্তোস জানান, রোনালদোকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেয়া কৌশলগত সিদ্ধান্তের বাইরে আর কিছুই নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদোকে তুলে নেন কোচ সান্তোস। সান্তোসের এই সিদ্ধান্তে মাঠেই নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রোনালদো। এই অসন্তুষ্টি প্রকাশকে ভালোভাবে নেননি সান্তোস। সেই ম্যাচের পর রোনালদোর আচরণে নিজের অসন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন তিনি।
যদিও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর সান্তোস বলেন, ‘সেই ঘটনার কোনো প্রভাব আজকের একাদশ নির্ধারণে ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলেছি সেই ঘটনা শেষ। তার মানে শেষ। রোনালদো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন এবং অধিনায়ক হিসেবেও সে সেরা। তাই আমরা সবাই দল দিসেবেই দলের ভালোর কথা ভেবেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসকে প্রশ্ন করা হয় যে,এটি তার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত কিনা। জবাবে সান্তোস বলেন, ‘রোনালদোর সাথে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আমার। তার ১৯ বছর বয়স থেকে আমি তাকে চিনি যখন সে স্পোর্টিং লিসবনে ছিলো। তারপর জাতীয় দলেও আমাদের দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করছি আমরা।’
নিজেদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার সম্পর্ক নিয়ে পরিষ্কার করেন সান্তোস। বলেন, ‘আমরা কখনো ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কোচ-খেলোয়াড় সম্পর্কের সাথে মেলাই না। আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সে।’
সুইজারল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার পর কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। মরক্কোর সাথে ম্যাচটি সহজ হবেনা বলেই মনে করছেন সান্তোস। কিন্তু নিজেদের ফর্ম নিয়েও আত্মবিশ্বাসী তিনি। বললেন, ‘আমরা এভাবে নিজেদের খেলা চালিয়ে যেতে পারলে এবং কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারলেই আমাদের বিশ্বকাপ যাত্রা সহজ হবে।’