ইতিহাস গড়া থেকে মাত্র ৬ উইকেট দূরে ছিল বাংলাদেশ। ভারতের দরকার ছিল ১০০ রান। প্রথম ঘন্টায় ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে যখন ফেভারিট বাংলাদেশ তখনই আবারও ক্যাচ মিসের মাশুল গুণতে হল বাংলদেশকে। ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট জয়ের সুযোগ তৈরি করেও আবারো কাছে গিয়ে ৩ উইকেটে হারতে হল স্বাগতিক দলকে। যদিও, বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয় ভারতের।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই আগের দিনের নাইট ওয়াচম্যান জয়দেব উনাদকাতকে লেগ বিফোর এর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান সাকিব। এরপর আবারো দৃশ্যপটে হাজির মেহেদী হাসান মিরাজ। অসাধারণ এক আর্ম ডেলিভারিতে আগের ইনিংসে ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান ঋষাভ পান্তকে ফেরান মিরাজ। এলবিডব্লুর শিকার হয়ে পান্ত ফেরেন ৯ রান করে।
নিজের পরের ওভারেও আবারো আঘাত মিরাজের। এবার গলার কাটা হয়ে আটকে থাকা বিপজ্জনক হন অক্ষর প্যাটেলকে বোল্ড করেন মিরাজ। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ৪ নম্বরে খেলতে নামা অক্ষর করেন ৩৪ রান। ৫ উইকেট শিকার করেন ওয়ানডের সিরিজ সেরা খেলোয়াড়।
ভারত তখন ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। জয় থেকে মাত্র ৩ উইকেট দূরে বাংলাদেশ। ভারতের তখনো প্রয়োজন ৭১ রান। এরপর আবারো সুযোগ তৈরি করেছিলেন মিরাজ। কিন্তু এবার শর্টি লেগে থাকা মোমিনুল সহজ ক্যাচ মিস করেন। জীবন পান অশ্বিন। ভারতের রান তখন ৮২। মানে তখনও জিততে হলে ভারতের সামনে অপেক্ষা করছিল বিরাট বাঁধা।
জীবন পেয়ে ভারতকে জয়ের পথে নিয়ে যান অশ্বিন। করেন ইনিংনস সর্বোচ্চ ৪২ রান। শ্রেয়াস আইয়ারও ২৯ রানে অপরাজিত থেকে জয়ের পথ দেখান ভারতকে। ৩ উইকেটের জয় পায় ভারত।
আরো একবার ক্যাচ মিসের মাশুল গুণতে হল বাংলাদেশকে। আরো একবার খুব কাছে গিয়েও ভারতকে হারাতে পারলো না বাংলাদেশ। একটা জুটিতেই ম্যাচ শেষ। ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ট্রাজিক হিরো হয়ে রইলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
যথারীতি আরেকটা টেস্ট হারল বাংলাদেশ। আরেকটা টেস্ট সিরিজে হল হোয়াইটওয়াশ। কে জানে, মুমিনুল ওই ক্যাচটা নিতে পারলে হয়তো ফলাফলটা ভিন্ন হলেও হতে পারত।