একবিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলার কে? এ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। মেসি আর রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে তর্ক আধুনিক ফুটবলে অন্যরমক রোমাঞ্চ সৃষ্টি করেছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে বিশ্ব ফুটবলে রাজত্ব করেছেন এই দুই ফুটবলার।
তবে, এবারে বিশ্বকাপ জিতে একক শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে রোনালদোকে অনেকটাই পেছনে ফেলেছেন মেসি। তবে সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার নিকোলাস পারেজা মনে করেন, বিশ্বকাপ না জিতলেও মেসি রোনালদোর চেয়ে সেরা এবং সেই সাথে বিশ্বের সেরা ফুটবলারই থাকতেন।
এক দশকের বেশি সময় দুই মহাতরকার দ্বৈরথে বুদ হয়েছিলো ফুটবল বিশ্ব। দুজনে মিলে জিতছেন মোট ১২ টি ব্যালন ডি অর। ক্লাবের জার্সিতে সম্ভাব্য সব কিছুই জিতেছেন দুজন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা দুজনেই কাটিয়েছেন স্প্যানিশ লা লিগায়। স্পেনে দুইজনের দ্বৈরথটা ফুটবল ইতিহাসের পাতায় ঠাই করে নেবে অনায়াসে।
এই বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের জার্সিতেও প্রায় সমানে সমান ছিলেন মেসি আর রোনালদো। ২০১৬ সালে পর্তুগালের হয়ে ইউরোর শিরোপা জেতার পর নেশন্স লিগও জেতেন রোনালদো। অন্যদিকে ২০২১ সালে আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার শিরোপা এনে দেবার পর ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমাও জেতেন মেসি।
তাই অর্জনের দিক থেকে টেক্কা দিচ্ছিলেন একে অপরকে। তবে মেসির বিশ্বকাপ জেতার পর অনেকেই মনে করেন, দুইজনের শ্রেষ্ঠত্বের বিতর্ক শেষ হয়েছে মেসির বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমেই। বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বে রোনালদোকে অনেকটাই পেছনে ফেলেছেন মেসি।
তবে এই দাবির সাথে একমত নন সেভিয়ার সাবেক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস পারেজা। টেলিকম এশিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পারেজা বলেন,’যদি মেসি বিশ্বকাপ নাও জিততো তবুও সে বিশ্বের সেরা ফুটবলারই থাকত। এখন যখন সে এটি জিতলো এ এখন নিজেকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে।’
মেসির প্রতি মুগ্ধ পারেজা আরো বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়টা মেসির প্রাপ্য ছিলো। এটিই একমাত্র শিরোপা যা সে এর আগে জেতেনি। আমার কাছে সে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। তাঁর জন্য আমি খুবই খুশি। সে আমার বন্ধু এবং সাবেক সতীর্থ। আর্জেন্টিনার সকলে খুব করে এই জয়টি প্রার্থনা করছিলো।দেশের জন্য এটি দারুণ কিছু।’