নামের ভারে দলে টিকে থাকার দিন শেষ। ওয়ানডে দল থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাদ পড়াটা সেই বার্তাই দেয়। আর এই বার্তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্দরমহল কেঁপে উঠতে বাধ্য।
আর মাস ছয়েক পর অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। একে তো ওয়ানডেই এখন অবধি বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। আর এবার বিশ্বকাপটা ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বলে, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ দলের সুযোগটা বেশি। ফলে, সেই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সম্ভাব্য সেরা কম্বিনেশনটাই গঠন করতে চাইবেন চান্দিকা হাতুরুসিংহে।
এখন প্রশ্ন হল, ওয়ানডে দলের সেরা কম্বিনেশনে কি মুশফিক আসেন? গত আট ম্যাচে যে তাঁর হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা মাত্র একটি। এর মধ্যে ১০-এর নিচে আউট হয়েছেন তিনবার। ফলে এই নিয়ে আলোচনা চলতেই পারে।
হ্যাঁ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তিনি রান করেছেন। ৭০ রানের একটা ইনিংস ছিল তাঁর। যদিও সেই রান করতে খেলেছিলেন ৯৩টি ডেলিভারি। মানে স্ট্রাইক রেট ৭৫-এর মত। ভারতের রানপ্রসবা উইকেটে এই স্ট্রাইক রেট আদৌ কতটা কার্যকর হবে?
এখানে আরেকটু যোগ করা দরকার। ২০২১ সালেও প্রায় ৬০ গড়ে ব্যাটিং করা মুশফিক ২০২২ সালে ব্যাটিং করেছেন মাত্র ২৩ গড়ে। গত বছর তাঁর ব্যাট থেকে আসেনি কোন সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন মাত্র দুইবার।
তার ওপর সাদা বলের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে এখন চলছে তারুণ্যের জয়গান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ দলে নতুন মুখ জাকির হোসেন, যদিও তিনি বাদ পড়েছেন ইনজুরির জন্য। ফেরানো হয়েছে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিকে। আগে থেকেই স্কোয়াডে আছেন অনভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়, যিনি টি-টোয়েন্টিতে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন। আর তাঁর ব্যাটিং স্টাইল বলে, ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য তিনি আরও পরিপূর্ণ এক ব্যাটার।
আফিফ হোসেন ধ্রুবও আছেন। আর মেহেদী হাসান মিরাজ তো এখন পুরোদস্তর ব্যাটার। এই অবস্থায় মুশফিকের দলে অবস্থানটাই প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে।
আর, কোচ হাতুরুসিংহে দলের মধ্যকার সিন্ডিকেটটা ভাঙতে চাচ্ছেন। অধিনায়ক তামিম ইকবালে প্রিয় পাত্র তাইজুলের বাদ পড়াটা সেই কথাই বলে। এখন কি সেই মিশনের অংশ হিসেবে মুশফিকও বাদ পড়তে পারেন?
মুশফিক অবশ্য এখনও ওয়ানডে দলে আছেন বহাল তবিয়তেই। তবে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা তাঁর জন্য বড় একটা পরীক্ষাই বটে। সেখানেও আশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলে ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে তা বলা মুশকিল!