শুরুতে চেন্নাইয়ের ইনিংসে রুতুরাজ গায়কড় ঝড়। পরে লক্ষ্ণৌর ইনিংসে কাইল মেয়ার্সের ব্যাটিং তাণ্ডব। তবে শেষ পর্যন্ত মঈন আলীর স্পিন বিষেই নীল হয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মেয়ার্সের ব্যাটিংয়ে শুরুতে আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ১২ রানে হেরেছে লক্ষ্ণৌ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন শুরুতেই উড়ন্ত সূচনা পায় চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও চেন্নাইকে দারুণ শুরু এনে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েও আরেক প্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন।
দুজনের জুটি থেকে আসে ১১০ রান। লখনৌর হয়ে বোলিংয়ে এরপর প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন রবি বিষ্ণয়। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে এ লেগির বলে আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
গায়কোয়াড়ের পর ৮ রানের ব্যবধানে কনওয়ের উইকেটও হারায় চেন্নাই। ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থেকে মার্ক উডের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় এ কিউই ব্যাটারকে।
গায়কোয়াড় আর কনওয়ের গড়ে দেওয়া সেই শক্ত ভিত্তিতেই বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় চেন্নাই। শিভাব দুবে, আম্বাতি রাইডুর কার্যকরী দুটি ইনিংসে চেন্নাই ২০০ রানের সংগ্রহের দেখা পেয়ে যায় ১৯ তম ওভারেই।
আর শেষ ওভারে এসে সেই সংগ্রহটাকে আরেকটু বাড়িয়ে নেন অধিনায়ক ধোনি। মার্ক উডের টানা দুই বলে মারেন দুই ছক্কা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় চেন্নাই সুপার কিংস।
২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আগ্রাসী ভূমিকায় ব্যাট করতে শুরু করেন লক্ষ্ণৌর ওপেনার কাইল মেয়ার্স। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও নিজের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখাতে শুরু করেন এ ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। মাত্র ২১ বলেই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। তবে ফিফটি পূরণের পরেই মঈন আলী বলে কনওয়ের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
অবশ্য পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ৮০ তুলে ফেলা লখনৌ তখন পর্যন্ত ম্যাচ জয়ের পথে ঠিকঠাকভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মেয়ার্স আউট হওয়ার পরেই ৮ বলের ব্যবধানে দীপক হুডা আর লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় লখনৌ। আর এর পরেই ম্যাচে দারুণ ভাবে ফিরে আসে চেন্নাই সুপার কিংস।
লক্ষ্ণৌর ইনিংসে হঠাৎ ধেয়ে আসা ধাক্কা পরে আর সামাল দিতে পারেনি লখনৌর ব্যাটাররা। মঈন আলীর বলে একে একে আউট হয়ে ফিরে যান ক্রুনাল পান্ডিয়া আর মার্কাস স্টয়নিস। আর এর পরেই লখনৌর জন্য সমীকরণটা বেশ জটিল হয়ে পড়ে।
লক্ষ্ণৌর শেষ ভরসা হিসেবে নিকোলাস পুরান যদিও তখন উইকেটে ছিলেন। কিন্তু তিনিও দলের প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হন। তুষার দেশপান্ডের বলে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ৩২ রানে।
এরপরে প্রায় অসম সমীকরণের পথ আর পাড়ি দেওয়া হয়নি লখনৌর। নির্ধাতিত ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ আটকে যায় ২০৫ রানে। চেন্নাইয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মঈন আলী।
এর ফলে জয় দিয়ে এবারের আইপিএল শুরু করলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম হারের মুখ দেখলো লখনৌ সুপার জায়ান্টস। আর শুরুটা পরাজয় দিয়ে হলেও আসরের প্রথম জয় তুলে নিল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।