শেষ বলের রোমাঞ্চে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটা জিতেছিল লখনৌ। তবে ২১৩ রানের লক্ষ্যে লখনৌর অধিনায়কের ২০ বলে ১৮ রানের ইনিংসটা কাঠগড়ায় উঠেছে ঠিকই। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ডোডা গণেশ তো লোকেশ রাহুলের এমন ইনিংসকে আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে ‘জঘন্যতম ইনিংস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, ‘২১৩ রানের লক্ষ্যে একটা শট খেলারও প্রবণতা দেখা যায়নি লোকেশের। আমি জানিনা, সে কোন ভাবনায় ব্যাট করছিল। তবে এমন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে আপনি কখনোই এভাবে ব্যাট করতে পারেন না। ম্যাচ পরিস্থিতিতে আইপিএলের ইতিহাসে এটাই বোধহয় সবচাইতে জঘন্যতম ইনিংস। সত্যিই এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। এটা ক্রিকেট শেখার কোনো স্কুল নয়।’
ম্যাচ জয়ের পর লোকেশ রাহুল অবশ্য এমন ইনিংসের ব্যখ্যা দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্যমতে, ম্যাচ পরিস্থিতিতে তিনি ঠিকঠাকই ব্যাট করেছেন। এ নিয়ে তাঁর আক্ষেপ নেই।
লোকেশ রাহুলের লখনৌকে মূলত ম্যাচ জিতিয়েছে মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ব্যাঙ্গালুরু প্রথমে ব্যাট করে ২১৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছিল লখনৌর সামনে। সেই লক্ষ্যে প্রথমেই টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল লখনৌ। তবে দলের এমন ক্রান্তিলগ্নেই পথ দেখিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস।
পাঁচে নেমে অজি এ ব্যাটার দারুণ ভাবে ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়েন। এরপর পাল্টা আক্রমণে যান। আর তাতেই মিলে সফলতা। ৩০ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে দলকে সম্ভাবনার পথে এগিয়ে দেন তিনি। তবে স্টয়নিসের ঐ ইনিংসটাও ম্যাচ জয়ের জন্য তখন যথেষ্ট ছিল না। প্রয়োজন ছিল অনুরূপ আরেকটি ইনিংস।
আর দলের জয়ে সেই আবদারই পরবর্তীতে মেটান নিকোলাস পুরান। ৬ এ নেমে ১৯ বলে ৬২ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান এ ব্যাটার। আর তাতেই ম্যাচ জয়ের বন্দরে পৌছে যায় লখনৌ।
ডোডা গণেশও ঠিক এমনটাই মনে করেন। লখনৌর মিডল অর্ডাররাই যে এ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছে তা মন্তব্য করে সাবেক এ পেসার বলেন, ‘ওদের মিডল অর্ডার লাইনআপ দারুণ। এমন ক্রাঞ্চ ম্যাচ জেতার জন্য এমন ব্যাটারই দলে প্রয়োজন। প্রথমে স্টয়নিস, এরপর পুরান। ওরাই ম্যাচ বের করে নিয়েছে। আর আয়ুষ বাদোনিও শেষ দিকে ভাল সাপোর্ট দিয়েছে। ভাল ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের লোকাল ক্রিকেটার এমন ম্যাচের সাথে পরিচিত হচ্ছে।’