ক্ষণে ক্ষণে রং বদলাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান নাটকীয়তার। ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আহমেদাবাদে খেলতে রাজি ছিল না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। একই সাথে দিয়েছিল ভেন্যু শর্ত। আবার সেই সিদ্ধান্ত সংশোধন করেছে পিসিবি।
রাজনৈতিক বৈরিতায় গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আহমেদাবাদের বাইরে চেয়েছিল পাকিস্তান। যদিও সেখানে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে আপত্তি নেই দলটির। দুই দেশের শীতল আলোচনায় মিলেছে এই সিদ্ধান্ত। ক্রিকেট পাকিস্তান প্রকাশ করেছে এমনই সংবাদ।
পাকিস্তান বোর্ড প্রথমে বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়েছিল। এরপর দিয়েছিল ভেন্যু শর্ত। সব কিছু মেনে সময় সূচী নতুন করে সাজিয়েছিল বিসিসিআই। চেন্নাইয়ে রাখা হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তবে পাকিস্তান আহমেদাবাদে খেলতে চাওয়ায় আবারও পরিবর্তন আসবে সূচীতে।
ভারতীয় বোর্ড খুব করেই চেয়েছে আহমেদাবাদে ম্যাচটি আয়োজন করতে। এই মাঠে প্রায় এক লক্ষ মানুষ একসঙ্গে খেলা দেখতে পারবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট বিক্রিতে নিতে হবে না বাড়তি চাপ। তবে পাকিস্তানের দেওয়া শর্তের কারণে পরিবর্তন হয়েছিল পরিকল্পনা।
পাকিস্তান শর্ত বাতিল করতে পারে এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য। এশিয়া কাপ নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচগুলো রাখা হয়েছ শ্রীলঙ্কাতে। ভারত যদি ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে, তাহলে ম্যাচটি হবে শ্রীলঙ্কাতেই।
ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো দাবি করছে, ‘পাকিস্তানের এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’। নতুন হাইব্রিড নিয়মে পাকিস্তানে ৪ থেকে ৫টি ম্যাচ হলেও খুশি পিসিবি।
এশিয়া কাপ নিয়ে চলমান সংকট সমাধান হতে পারে চলতি সপ্তাহে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারত বিশ্বকাপে অংশ নিতে সমস্যা করবে না পাকিস্তান। দলটি ভারতের বিমান ধরলে, অবসান ঘটবে দীর্ঘ অপেক্ষার।
ভারতের মাটিতে দুই দল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল ২০১৬ সালে। রাজনৈতিক বৈরিতার জন্য দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ বন্ধ দীর্ঘ সময় ধরেই। এবারের বিশ্বকাপ দিয়ে আবারও ভারতের মাটিতে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি মাত্র চার মাস। এখনও প্রকাশ হয়নি সূচী। একদিন আগেই বিসিসিআইয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিল, সময়সূচীর খসড়া চূড়ান্ত। প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের চাওয়া। আহমেদাবাদ থেকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আসা হয়েছে চেন্নাইয়ে।
সূচী তৈরি করে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করেছিল বিসিসিআই। পাকিস্তান বোর্ড রাজি হলে আইসিসি প্রকাশ করবে সূচী। এমন একটা অবস্থার মধ্যে পাকিস্তানের নতুন সিদ্ধান্তে আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে সূচী।
আহমেদাবাদ ছাড়াও পাকিস্তানের ম্যাচগুলো চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ক্রিকেট দুনিয়ার এই খবর ছড়িয়েছে। তবে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কোন কিছু বলা আপাতত সম্ভব নয়। কেননা এশিয়া কাপ নিয়ে সিদ্ধান্তের দিকেই আগে তাকিয়ে থাকতে হবে সমর্থকদের।