চট্টগ্রামের রৌদ্র ঝরা সকালে একটা ছোট্ট বৈঠক হল। কোচ চান্দিকা হাতুুরুসিংহে ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সাথে কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। উইকেটের দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে কি যেন এক মহাগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে কথা বলছেন তাঁরা।
সামান্য এই দৃশ্যটুকুতেই আসলে মূল চিত্রটা বোঝা যায়। সবার মনেই আসলে প্রশ্ন একটাই, কি রহস্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট?
বলা হয়ে থাকে, ঢাকার থেকে চট্টগ্রামের উইকেট বেশ ভাল। বিশেষ করে, স্পোর্টিং উইকেট হিসেবে বেশ সুনাম আছে চট্টগ্রামের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে উইকেটে দেখা গেল ঘাস। ঘাস দেখলেই পেস বোলিং সহায়ক মনে করার একটা ধারণা আছে। সেই ধারণাটা বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজেও উড়িয়ে দিতে চাইলেন না।
তিনি বললেন, ‘এই উইকেটে প্রথম ১০ বা ১৫ ওভার ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন হবে। দেখে শুনে খেলতে হবে। তবে, খেলতে পারলে এখানে রান আছে।’ তামিমের সাথে সুর মেলালেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিও। তিনিও মনে করেন, এই উইকেটে প্রচুর রান আছে।
মানে, চট্টগ্রামের উইকেটের রহস্য ওই ১০ বা ১৫ ওভারেই সীমাবদ্ধ। তবে, আফগানদের বিপক্ষে এই সামান্য সময়েই বাংলাদেশ দলের নিজের পায়ে কুড়াল মারার নজীর আছে।
গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে আফগানদের ২১৫ রানের জবাবে ৪৫ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব না থাকলে হয়তো, বিস্ময়কর এক হারের কবলেই পড়তে হত বাংলাদেশ দলকে।
তাই এবার আগাম সতর্ক বার্তার বাতাস বইছে বাংলাদেশের শিবিরে। বোলিং নিয়ে তেমন একটা শঙ্কা নেই বাংলাদেশ দলে। পেস আর স্পিনারদের নিয়ে গড়া আক্রমণ ভাগটা আফগান ব্যাটারদের জন্য যথেষ্ট হবে বলেই মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে, ব্যাটিং নিয়ে একটু যদি-কিন্তু আছে। আত্মবিশ্বাসহীনতা নয়, বরং অতি-সাবধানী মানসিকতা নিয়েই নামছে বাংলাদেশ। একাদশে আট জন ব্যাটার ও তিন জন পেসার থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
আট জন ব্যাটারের মধ্যে দু’জন হলেন – সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মানে, বাড়তি কোনো স্পিনার খেলাবে না বাংলাদেশ। আর ব্যাটিং লাইন আপেও বড় কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে না বাংলাদেশ দল।
পেস আক্রমণটা মোটামুটি চূড়ান্তই। তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের সাথে থাকবেন মুস্তাফিজুর রহমান। মূলত, এই তিন জনের ওপর ভর করেই আফগানদের চমকে দিতে চায় বাংলাদেশ।