ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে খানিকটা ইতস্তত তামিম ইকবাল খান। তিনি বলেছিলেন তিনি ফিট আছেন কিনা তা ম্যাচ খেলেই যাচাই করতে চান। ওদিকে প্রথম ওয়ানডের সকাল বেলা সাগরিকায় টস হওয়ার আগেই বোমা ফাটান নাজমুল হোসেন পাপন।
তামিমের এমন মন্তব্যে বেজায় ক্ষেপেছেন প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। তাইতো টস হওয়ার আগেই প্রধান প্রশ্ন ছিল, শেষ অবধি তামিম খেলবেন কিনা। অবশেষে বেলা ১:৩০ টায় কেটে যায় সকল ধোঁয়াশা। জল্পনা-কল্পনা শেষে মিলেছে কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের ফলাফল।
সকল কিছু উপেক্ষা করে তামিমই আসলেন সেন্টার উইকেটে টস করতে। এক্ষেত্রে সম্ভবত পুরো দলের বিপরীতেই যেতে হল তাকে। খানিকটা জোর করেই খেললেন সম্ভবত তিনি। কেননা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে তাকে বিশ্রামের উপদেশও দেওয়া হয়েছিল।
তবে নিজের ফিটনেস লেভেল পরীক্ষার ক্ষেত্র কি আদৌ একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে পারে কি-না, সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। যেহেতু তামিম ইকবাল নিজের উপর ভরসা রেখেছেন, সেহেতু তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন ইনজুরির চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজেকে আফগানদের বিপক্ষে মেলে ধরতে।
আর সে কাজটা একেবারে শুরু থেকেই করতে হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। কেননা টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ওপেনার হিসেবে শুরুতেই তাই চ্যালেঞ্জটা সামাল দিতে হতো তামিমকেই। আগের দিন অবশ্য তিনি নিজেই বলেছিলেন শুরুর ১৫ ওভার অবধি বেশ কঠিন হবে ব্যাটারদের জন্য। উইকেটে ঘাসের উপস্থিতি রয়েছে।
এখন তামিমকে শতভাগ ফিট না হয়েও নিজের সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে হতো। ব্যর্থ হলেই তাকে নিয়ে নানান ধরণের সমালোচনা ঠিক যেন ছিল মাথার উপরেই। আর এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে নিজেকে বড় ধরণের ইনজুরিতেও পড়ার শঙ্কা তো একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়।
তবুও তামিম নিজেকে খানিকটা চাপে ফেলেই খেললেন। তবে তামিম জোর করে খেলে অবশ্য দলের বড় কোনো লাভ হয়নি। বরং বেড়েছে বিপদ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২১ বলে করেন ১৩ রান। যথারীতি কট বিহাইন্ডের ফাঁদে পড়েন আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির বলে। তাতেই ‘আনফিট’ তামিম দলের ক্ষতিই করলেন। যদিও তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন দলের জন্য ক্ষতিকর কিছু তিনি করতে চান না।