অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে মহাগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব মিলেছে, ওয়ানডে দলের অধিনায়কের নাম জানা গিয়েছে অনেক অপেক্ষার পর। সেই সাথে এশিয়া কাপের দলও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর থেকেই আলোচনার জন্ম হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে।
বাংলাদেশ দলের অন্যতম সিনিয়র এই খেলোয়াড় জায়গা পাননি এশিয়া কাপের দলে, টিম ম্যানেজম্যান্টের হুটহাট মনের পরিবর্তন না হলে হয়তো বিশ্বকাপেও দেখা যাবে না তাঁকে।
মূলত এপ্রোচ, ফিটনেসের কারণে চলতি বছর পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাট থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর থেকে আর লাল-সবুজের জার্সিতে ফেরা হয়নি রিয়াদের; তবে ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকেরই ধারণা, তামিম ইকবাল অধিনায়ক থাকলে হয়তো শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকতেন এই ডানহাতি।
দীর্ঘদিনের সতীর্থের প্রতি একরকমের দুর্বলতা ছিল তামিম ইকবালের। আকারে, ইঙ্গিতে অনেকবারই সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকি দল প্রকাশের পর রিয়াদের কথা ভেবে খানিকটা আক্ষেপ করতেও দেখা গিয়েছে সদ্য বিদায়ী অধিনায়ককে।
তামিম ইকবালের চেয়ে সাকিব আল হাসান সম্পূর্ণ আলাদা, ক্রিকেটের মাঠে তিনি পুরোপুরি পেশাদার। তাই তো পারফরম্যান্সকে সবার আগে বিবেচনা করেন তিনি। সেজন্যই নামের ভারে সুযোগ মেলেনি রিয়াদের।
জানা গিয়েছে, সাকিব আল হাসান অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে শর্ত দিয়ে রেখেছিলেন দলের উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাঁর। নামের জোরে নয়, ব্যাটে বলে পারফর্ম করেই জায়গা পেতে হবে সবাইকে। অথচ গত কয়েক বছরে বলার মত কিছু করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এতকিছুর পরেও হয়তো এই তারকা ঠিকই মহাদেশীয় মঞ্চে আরো একবার নামার সুযোগ পেতেন, যদি কেবল তামিম ইকবাল অধিনায়ক থাকতেন। কেননা অভিজ্ঞতাকে একটু বেশিই মূল্যায়ন করেন তামিম; এই যেমন বিভিন্ন সময়ে ভুল করার পরেও তাই ওয়ানডে দলের গ্লাভস মুশির হাতেই দেখতে চেয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার।
তবে সাকিব অধিনায়ক হওয়াতে বদলে গিয়েছে হিসেব নিকেশ। পারফর্ম আর ফিটনেসে পিছিয়ে থাকায় সুযোগ মেলেনি রিয়াদের। মাঠে কিছু করে দেখাতে না পারলে সাকিবের দলে কারো জায়গাই যে নিশ্চিত নয় সেটাই প্রমাণ হলো আরেকবার।
স্বয়ং তামিম ইকবালও যদি নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভাল করতে না পারেন তিনিই হয়তো পাবেন না ভারতের বিমানের টিকিট। সে হিসেবে মাহমুদল্লাহ রিয়াদ তো আরো পিছিয়ে; কিউইদের বিপক্ষে তাঁর সুযোগ না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।