বাংলাদেশের পেস আক্রমণের মূল সেনানী তিনি৷ তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ বধের কৌশল। কিন্তু বৈশ্বিক মঞ্চে এসেই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেললেন তিনি। বলা হচ্ছে, তাসকিন আহমেদের কথা।
চলতি বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তার প্রতিফলন মিলেছে নগণ্যই বটে। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের মাঝে বোলিং আগ্রাসন দিয়ে ত্রাস ছড়ানো তো দূরে থাক, কোনো ম্যাচেই নিজের বোলিং কোটা পূরণ করতে পারেননি এ পেসার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৬ ওভার বোলিং করেছিলেন তাসকিন। এর পরের ম্যাচেও ৬ এবং তৃতীয় ম্যাচে ৮ ওভার বোলিং করতে দেখা যায় তাসকিনকে। আর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তো একাদশেই রাখা হয়নি তাঁকে।
শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও এ বোলারকে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ সামান্য। মূলত, এ সময়কালে তাসকিনের ইনজুরি নিয়ে তৈরি হয়েছে একটা ধুম্রজাল। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নাকি কিছুটা ইনজুরি নিয়ে খেলছেন তাসকিন আহমেদ!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলার সময় কাঁধের পুরনো চোট ফিরে আসে তাসকিনের। এরপরও যদি পরের দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। ততক্ষণ পর্যন্ত তাসকিনের ইনজুরি তেমন কোনো তথ্যই সামনে আসেনি।
তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকার পরই উঠেছে প্রশ্ন। ইনজুরি নাকি অন্যকিছু? তাসকিনের বাদ পড়ার নেপথ্যে মূল কারণটা আসলে কোথায়?
নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্র জানাচ্ছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন তাসকিন কোনো ম্যাচেই ফুল ফিট ছিলেন না। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেরই পরই তাসকিনের একটা স্ক্যান করানো হয়েছিল। তবে সে রিপোর্টের কোনো কিছুই বাংলাদেশ দল প্রকাশ্যে আনেনি।
তবে গুঞ্জন আছে, তাসকিনের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী তাঁর একটা অপারেশন করানো লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস থাকতে হবে মাঠের বাইরে। ফলত, বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবে তাসকিন আহমেদের। অবশ্য তাসকিনকে শেষ পর্যন্ত অপারেশন করানো হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশাই থাকছে।
তাসকিনের জন্য ইনজুরি নামক দু:স্বপ্ন নতুন কিছু নয়। এই ইনজুরির কাছেই হার মেনে ২০১৯ বিশ্বকাপ মিস করেছিলেন এই পেসার। এবার মিস করেননি। তবে পারফর্ম করার যে ক্ষুধা নিয়ে তাসকিন এবারের বিশ্বকাপে এসেছিলেন, তা অনেকটা বৃথা পথেই এগোচ্ছে।