এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে ধোঁয়াশা কেটেছে আগেই। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর। কিন্তু, সময়কাল নির্ধারিত হলেও বিস্ময়করভাবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি টুর্নামেন্টের ফিকশ্চার। তাই এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি চূড়ান্ত করতে এবার দুবাইয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নীতি নির্ধারকরা।
এর আগে ৯ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে চলমান আইসিসির সভাতেই এশিয়া কাপের দিনক্ষণ আর সময়সূচি চূড়ান্ত করার কথা ছিল। তবে আইসিসি’র এ সভার শেষের পরই আগামী রবি ও সোমবারে এশিয়া কাপ নিয়ে দুবাইয়ে আলাদা বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি।
এসিসি’র এ সভায় উপস্থিত থাকবেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি এবং বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। এ ছাড়া একই সভায় থাকবেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) কর্মকর্তারাও। সেখানেই মূলত সূচি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে এসিসি’র।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সে সূচি প্রকাশিত না হলেও গুঞ্জন আছে নিজেদের মাটিতে মাত্র একটি ম্যাচই খেলার সুযোগ পাচ্ছে। নেপালের বিপক্ষে পাকিস্তানের একমাত্র সে ম্যাচটি গড়াবে লাহোরের মাটিতে। আর বাকি তিনটি ম্যাচ হবে আফগানিস্থান-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আর শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মধ্যে। যার অর্থ গ্রুপ ‘বি’-এর সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
অর্থাৎ সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা উঠতে ব্যর্থ হলে স্বাগতিক দেশ হয়েও নিজেদের মাটিতে একটি ম্যাচও খেলতে পারবে না লঙ্কানরা। আর এশিয়া কাপে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পাকিস্তান-ভারত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায়।
এবারের এশিয়া কাপ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। মূলত আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানই পূর্ব নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যু দেখিয়ে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ অংশগ্রহণে আপত্তি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান।
কিন্তু, তাতেও প্রথমে মন গলেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানের এমন প্রস্তাবিত মডেলে এশিয়া কাপে অংশ নিবে না ভারত। এর মাঝে আবার ভারত একক ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় এসে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত মডেলেই এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
তবে মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। পাকিস্তান যেখানে টুর্নামেন্টের মাত্র ৪ টি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে বাকি ৯ টি ম্যাচ।
পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেপাল— এই ৬ টি দেশের মধ্যে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আয়োজিত হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। যেখানে গ্রুপ এ তে থাকছে ভারত, পাকিস্তান আর নেপাল। আর গ্রুপ বি তে থাকছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এই দুই গ্রুপ থেকে দুটি করে দল নিয়ে এরপর হবে সুপার ফোর পর্ব। এরপর সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে।