এই হারের কোনো ব্যাখ্যাও হয় না!

বৃষ্টিতে ভেস গেল ম্যাচ। বাংলাদেশি ব্যাটারদের দূর্দিনে ম্যাচের ফলাফলও তাদের বিপক্ষে। শেষ দুই সিরিজের দূর্দান্ত পারফরমেন্স কোথাও একটা মিলিয়ে যাওয়ার আভাস। ডার্কওয়ার্থ লুইস (ডিএল) পদ্ধতি অনুসারে, ১৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আফগানিস্তান।

বৃষ্টিতে ভেসে গেল ম্যাচ। বাংলাদেশি ব্যাটারদের দূর্দিনে ম্যাচের ফলাফলও তাদের বিপক্ষে। শেষ দুই সিরিজের দূর্দান্ত পারফরমেন্স কোথাও একটা মিলিয়ে যাওয়ার আভাস। ডার্কওয়ার্থ লুইস (ডিএল) পদ্ধতি অনুসারে, ১৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আফগানিস্তান।

শঙ্কা কাটিয়ে লিটন দাসকে সাথে নিয়ে ওপেনিংয়ে হাজির হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। শুরুটা একটু ধীরস্থির গতিতেই হয় লিটনদের। বেশ নড়বড়েই ছিলেন তামিম ইকবাল। অপরপ্রান্তে লিটনও শুরুটা করেন রয়েসয়ে।

তবে সেই ধীরস্থির শুরু থেকে বেড়িয়ে আসা হয়নি বাংলাদেশের। বরং ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সাকিব আল হাসানরা। শুরুটা তামিমকে দিয়ে। পুরনো লড়াইয়ে এবারও পরাজিত তামিম। ফজল হক ফারুকিকে উইকেট দিয়ে তিনি ফেরেন সাজঘরে। সপ্তম ওভারের শেষ বলে ৩০ রানে প্রথম উইকেটের পতন বাংলাদেশের।

সেখান থেকে আর প্রতিরোধ গড়া হয়ে ওঠেনি। ব্যাটাররা এসেছেন, তারা খানিকক্ষণ উইকেটে সময় কাটিয়ে আবার ফিরে গেছেন। ফর্মের তুঙ্গে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন অনিয়ন্ত্রিত এক সুইপ শট খেলে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট যেতে থাকা বাংলাদেশের সামনে তখন অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার ভয়।

ভয়ের সেই সময়টা আরও খানিকটা দীর্ঘায়িত করেছে আষাঢ়ের বৃষ্টি। দুই দফা খেলা বন্ধ থাকায়, কর্তন হয় সাত ওভার। তবে তাতে লাভের থেকে ক্ষতিই বরং হয়েছে বাংলাদেশের। ১২৮ রানে ছয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ, কোন মতে ১৬৯ রানে পৌছায়। সেখানটায় অবদান রাখেন তাওহীদ হৃদয়। কেবলই শুরু করা নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়।

তার উপরই দায়িত্ব ছিল দলের ইনিংসটি যথাসম্ভব বড় করবার। তবে পঞ্চাশের মাইলফলক ছোয়ার সাথে সাথে ৫১ রানেই আউট তাওহীদ। বাকিটা সময় অপেক্ষা ছিল যেন অলআউট হবার। তবে তেমনটি হয়নি। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬৯। পেসার ফজল হক ফারুকির ঝুলিতে গেছে তিন উইকেট। রশিদ-মুজিবের সমান দুই উইকেট।

ডার্কওয়ার্থ লুইস(ডিএল) পদ্ধতিতে ১৬৪ রানের টার্গেট দাঁড়ায় আফগানিস্তানের। স্বল্প লক্ষ্যমাত্রা আফগান ওপেনারদের রেখেছিল বেশ চাপমুক্ত। শঙ্কা ছিল কেবল বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার। সেই শঙ্কার পালে লেগেছে হাওয়া। দুই উইকেট হারিয়ে আফগানরা যখন ৮৩ রান তুলেছে বোর্ডে, তখনই তৃতীয় দফা বৃষ্টির বাঁধা। তাতে অবশ্য কপাল পুড়ে বাংলাদেশের।

ডিএল নিয়মে ৬৭ রান থাকতে হতো আফগানিস্তানের। আফগানরা ছিল ঢের এগিয়ে। সেই মুহূর্তে খেলা মাঠে না গড়ালে তাই হাসমতউল্লাহ শাহীদিদের জয় ছিল নিশ্চিত। শেষমেশ হয়েছেও তাই। বৃষ্টি আইনে ১৭ রানের জয়। এই জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা। টেস্টে একপেশে হারের পর নিশ্চিতভাবেই পালটা দাপটটা দেখাতে চাইবে রশিদ-নবীরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...