বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে গত বছরের মার্চে।
দীর্ঘ ১০ মাস পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। আর এই দীর্ঘ বিরতিই ভাবাচ্ছে আকরাম খানকে। এই দীর্ঘ বিরতিরর পর ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা নিয়ে চিন্তিত আকরাম খান।
গত দুই মাসে দুইটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলেছে ক্রিকেটাররা। দুটি টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে সমান তালে পারফর্ম করেছে তরুণ ক্রিকেটাররা। এরপরেও চিন্তিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
দীর্ঘ বিরতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কঠিন। এতদিন গ্যাপ থাকার পর মাঠে ফিরে আসা, হয়তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আছে, কিন্তু ওদের ফর্ম নিয়েও আমরা অনেক চিন্তায় আছি।’
আকরামের দুশ্চিন্তা শুধু ফর্ম নিয়েই নয়। দীর্ঘ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমে মানিয়ে নিতে কত সময় লাগবে সেটা নিয়েও। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর যেহেতু সবাই মাঠে নামছে, খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন হবে। সেদিক দিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। যেহেতু আমাদের কিছু মানসম্পন্ন ক্রিকেটার আছে, আশা করি বাংলাদেশ ভালো করবে।’
বাংলাদেশ সফরে খর্ব শক্তির দল পাঠাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত কয়েকটা সিরিজ ধরেই জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ দিন বায়ো বাবলে থাকার ধকল ও করোনার ভয়ে এই সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। তবে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা বা দূর্বলতার দিকে না তাকিয়ে নিজ দল নিয়েই ভাবছেন আকরাম খান।
আকরাম খান বলেন, ‘ওদের হয়ত নামকরা কিছু খেলোয়াড় আসছে না। তবে এটা কোনো ব্যাপার নয়। অন্য খেলোয়াড়রা ভালো মানের না- এমন নয়। ওদের স্ট্যান্ডার্ড অনেক ভালো। আপনার দলের খেলোয়াড়রা কীভাবে খেলছে, ওদের এপ্রোচ কেমন, ফর্মে আছে কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
দ্বিতীয় সারির দল পাঠালেও তাদের সাথে লড়াই হবে বলে আশাবাদী আকরাম খান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াড ঘোষণার পর তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ওখানে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনও বেশ শক্ত। অনেকে আসছে না মানেই ওদের দল খারাপ হয়ে যায়নি। আমাদের জন্য যথেষ্টই চ্যালেঞ্জিং হবে। সিরিজের গুরুত্বও কমছে না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লিগের খেলা, আশা করি ভালো লড়াই হবে।’
বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী:
১০ জানুয়ারি: বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৮ জানুয়ারি: ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ,
ভেন্যু: বিকেএসপি, সাভার।
২০ জানুয়ারি: প্রথম ওয়ানডে,
ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,
২২ জানুয়ারি: দ্বিতীয় ওয়ানডে,
ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,
২৫ জানুয়ারি: তৃতীয় ওয়ানডে,
ভেন্যু: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম,
২৮-৩১ জানুয়ারি: চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ,
ভেন্যু: এম এ আজিজ স্টেডিয়াম,
৩-৭ ফেব্রুয়ারি: প্রথম টেস্ট,
ভেন্যু: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম,
১১-১৫ ফেব্রুয়ারি: দ্বিতীয় টেস্ট,
ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,