কাগজে কলমে দুই দলের পার্থক্য হয়তো আকাশ পাতাল। কিন্তু, মাঠের লড়াইয়ে দুই ম্যাচে এগিয়ে থেকেই জিতেছে আমেরিকা।
তৃতীয় ম্যাচটা তাঁদের জন্য তাই স্রেফ নিয়মরক্ষার। আর সেই কাজটা করতে গিয়ে বাংলাদেশ দলকে ‘চূড়ান্ত অপমান’ই করল মার্কিনিরা।
আমেরিকা প্রথম দুই ম্যাচ থেকে তাঁদের মূল একাদশের চারজনকে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছে। বার্তাটা এখানে তাঁদের পরিস্কার। বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াডের বাকি চারজনকে বাজিয়ে দেখতে চায়।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, যে চারজনকে বিশ্রাম দিয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় পাওয়া হারমিত সিং, আলী খানও আছে। স্টিভেন টেলর নেই, অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলকেও রাখা হয়নি।
এই একটা সিদ্ধান্ত অনেকরকম স্টেটমেন্টও দেয়। প্রথমটা অবশ্যই বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুত রাখা। আর দ্বিতীয়টা হল, কোনো কিছুকে ভয় না পাওয়ার প্রতিশ্রুতি।
কারণ, তৃতীয় ম্যাচটা আক্ষরিক অর্থেই ডেড রাবার। এই ম্যাচে জিতলেও আমেরিকার বাড়তি কোনো প্রাপ্তি নেই। হারলেও ক্ষতি নেই।
অথচ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাটিতেও শেষ ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দলও কোনো সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রাখতে চায় না। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কথা না হয় বাদই থাকল। আর অধিনায়ককেও যে চাইলে মাঠের বাইরে রাখা যায়, সেটা তো হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের জানাই নেই।
বাংলাদেশ দল এতকাল বড় শক্তিগুলোকে দেখে শিখতো। এখন ‘ছোট’ দল আমেরিকা দেখেও শিখতে পারে। আচ্ছা, ছোট দলই বা বলা হবে কেন। মাঠের পারফরম্যান্স বা মাঠের বাইরের কাজে আমেরিকাও তো এখন বাংলাদেশের চেয়ে বড় দল!