লিওনেল মেসি নেই, নেই অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াও – চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটা আর্জেন্টিনার জন্য ছিল কিংবদন্তি হীন নতুন যুগের সূচনা। যারা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এতদিন, তাঁরাই এবার দূর থেকে দেখেছেন। তবে সূচনায় কঠিন পরীক্ষার ফলাফল আর্জেন্টিনার অনুকূলেই এসেছে, ঘরের মাঠে চিলিকে উড়িয়ে দিয়ে জিততে পেরেছে তাঁরা। মেসি না থাকলেও তাঁর অভাব বুঝতে দেননি বাকিরা।
বর্তমানে সময়ে সবচেয়ে ইনফর্ম জাতীয় দলগুলোর যেকোনো সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হলে আর্জেন্টিনাকে আপনার রাখতেই হবে। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়, টানা দুইবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন কিংবা বাছাইপর্বে সবার ওপরে থাকা – এসবকিছুই দলটির সামর্থ্যের প্রতিফলন।
চিলির বিপক্ষে তাই পরিষ্কার ফেভারিট হয়েই মাঠে নেমেছিল আলবিসেলেস্তারা। ৩-৫-২ ছকে লাউতারো মার্টিনেজ আর জুলিয়ান আলভারেজ দু’জনেই খেলেছেন সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে। অন্যদিকে সফরকারীরা মাঠে নেমেছে ৪-৩-৩ ফরমেশনে। কাগজে কলমে এগিয়ে থাকলেও মেসি-মারিয়া না থাকায় স্বাগতিক সমর্থকদের মনে অবশ্য একটু হলেও শঙ্কায় ছিল।
সেই শঙ্কা আরো বাড়ে যখন রদ্রিগো ডি পলদের একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখেও বলার মত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তাঁরা। উল্টো বিরতির আগে গোল হজম করেই বসেছিল আর্জেন্টিনা, মাতিয়াস কাতালানের হেডার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে পরাস্ত করেই ফেলেছিল, তবে ত্রাতা হয়ে আসে গোলপোস্ট।
কিন্তু বিরতির পর আর শঙ্কার মেঘ জমা হতে দেয়নি আর্জেন্টাইনরা, ডি পলের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে পাঠান আলভারেজ। লাউতারোর ডামি সুবাদে সেসময় খালি পোস্টে বল পেয়ে যান অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার এবং গোল।
ম্যাচের বাকি অংশে দু’দলই চেষ্টা করেছে স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনার, কিন্তু তাঁদের চেষ্টা ঠিকঠাক জমেনি। তবে শেষদিকে হুট করেই ঝড় ওঠে যেন, ৮৪ মিনিটের মাথায় ২০ গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্য এক শটে গোল করে বসেন জুলিয়ান। মিনিট কয়েক পরে আবারো ম্যাজিক; গার্নাচোর দারুণ ড্রিবলিং আর পাওলো দিবালার ফিনিশিংয়ের কল্যাণে দেখা মিলে তৃতীয় গোলের।