বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল অনেক, শিরোপা না জিতলেও অন্তত সেমিফাইনাল খেলবে তাঁরা এমনটাই ছিল সবার আশা। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়নি; গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল দলটি। আর এই ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়ে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাবর আজম, বিশ্বকাপ শেষ হতেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তিনি।
ইতোমধ্যে নতুন দলনেতা নির্বাচন করেছে পাকিস্তান। সাদা বলে শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং লাল বলে শান মাসুদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে তাই নেতৃত্বের চাপ থাকবে না বাবরের ওপর, সেজন্য তাঁর ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে বলে বিশ্বাস মোহাম্মদ হাফিজের।
তিনি বলেন, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে বাবর আজম পাকিস্তান ক্রিকেট দলে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। অধিনায়ক না হওয়ায় তাঁর ওপর থেকে চাপ কমবে। অধিনায়কত্ব অবশ্যই একজন ক্রিকেটারের উপর চাপ বাড়ায় এবং কেউ যদি তা অস্বীকার করে তবে সে ভুল ভাবছে।’
সাবেক এই অলরাউন্ডার আরো যোগ করেন, ‘চাপ কমে যাওয়ায় আমি মনে করি বাবরের পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে। সে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত অবদান রাখছে এবং আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানকে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য তিনি আরো ভাল পারফরম্যান্স করবেন।’
এসবের সূত্রপাত অবশ্য হয়েছে বাবর আজমের কথার পরিপ্রেক্ষিতেই। বিশ্বকাপ চলাকালীন একটা সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘অধিনায়কত্বের কারণে আমার ব্যাটিংয়ের উপর খুব একটা প্রভাব পড়ে না। সবসময়ই ব্যাটিংয়ে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি আমি। ফিল্ডিংয়ের সময় আমি অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবি আর ব্যাটিংয়ের সময় শুধু ব্যাটিং নিয়েই থাকি।’
হাফিজ এবং বাবর – দুইজনের অবস্থান মুদ্রার দুই পিঠে; এখন দেখার বিষয় কার মতামত সঠিক প্রমাণ হয়। নিকট ভবিষ্যতে পাক তারকার ব্যাটিং দেখলেই সেটা অবশ্য বোঝা যাবে।