জটিল সমীকরণ ছাপিয়ে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশের

সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে নেপালের বিপক্ষে জিততেই হতো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটতে দেয়নি মাহফুজ রাব্বির দল। নেপালের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য ২৪.৪ ওভার আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিতে নেয় জুনিয়র টাইগাররা।

সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে নেপালের বিপক্ষে জিততেই হতো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটতে দেয়নি মাহফুজ রাব্বির দল। নেপালের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য ২৪.৪ ওভার আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় জুনিয়র টাইগাররা।

ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে টস জিতে এ দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেপাল অধিনায়ক দেব খানাল। তবে সেই সিদ্ধান্তই কাল হয়ে দাঁড়ায় নেপালি ব্যাটারদের জন্য।

ইনিংসের শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের তোপে কোণ ঠাঁসা হয়ে পড়ে নেপালের টপ অর্ডার। রোহানাত দৌলা বর্ষণ আর মারুফ মৃধার এক স্পেলেই প্রথম ১০ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নেপাল।

এরপর মিডল অর্ডারে দেব খানাল এবং বিশাল বিক্রম কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন। গড়েছিলেন ৬২ রানের জুটি। তবে সেই জুটি শেষ পর্যন্ত নেপালকে বড়  স্কোর এনে দিতে পারেনি। ৩৫ রান করেন দেব খানাল, আর বিশাল বিক্রম ৪৮ রান করে ফিরে যান।

বাংলাদেশের হয়ে এ দিন রোহানাত দৌলা বর্ষণ ১৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। আর শেখ পারভেজ জীবন ৩৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

১৭০ রানের লক্ষ্যে শুরুটা নিয়ন্ত্রিতই করে বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটেই ৬৭ রানের জুটি গড়ে আশিকুর রহমান শিবলী আর জিশান আলম। শিবলী এ দিন ১৬ রানে ফিরে গেলেও ফিফটি তুলে নেন অপর ওপেনার জিশান আলম।

এ ছাড়া আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল ইসলামও এ দিন ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে। আর এতেই ৫ উইকেটের সহজ পায় পায় বাংলাদেশ।

এ জয়ের ফলে এখনও সেমিতে ওঠার স্বপ্ন টিকে রইল বাংলাদেশের। পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারালেই শেষ চারে জায়গা পাবে টাইগার যুবারা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে এ ম্যাচে মুখোমুখি হবে মাহফুজ রাব্বির দল।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...