ইমার্জিং কাপ, অভিজ্ঞতাই শেষ কথা নয়

ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের আগের চারটি আসর ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ বয়সীদের টুর্নামেন্ট। সঙ্গে তিন জন বা চার জন বেশি বয়সী ক্রিকেটার নেওয়ার সুযোগ ছিল। এবার তা বদলে গেছে। নাম ইমার্জিং রয়ে গেলেও সুযোগ করে দেওয়া হয় ‘এ’ দলকে, বয়সের ব্যাপার নেই।

বাংলাদেশ দলটা সবচেয়ে অভিজ্ঞ ছিল। টেস্ট ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার স্কোয়াডে সব মিলিয়ে ৮ জন। আজকের একাদশে ছিলেন ৬ জন। বাকিরাও দু-একজন ছাড়া সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক খেলেছেন, ‘এ’ দলে খেলেছেন।

এই বাংলাদেশ দলকে হারিয়ে দিল ভারতের ২০-২১-২২ বছর বয়সী এক দল ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা তো বহুদূর, অভিষেক শর্মা ও রিয়ান পরাগ ছাড়া বাকি সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটেও নবীন। এই অভিষেক ও পারাগের বয়সও কেবল ২২ ও ২১।

আজকের অন্য সেমি-ফাইনালে শ্রীলঙ্কার একাদশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ক্রিকেটার ছিলেন ৮ জন। চামিকা করুনারত্নে, আভিশকা ফার্নান্দোর মতো অভিজ্ঞরা ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের বড় নামগুলো ছিল। কিন্তু তারাও হেরে গেছে পাকিস্তানের কাছে।

পাকিস্তানের সেমিফাইনালের একাদশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ক্রিকেটার ছিলেন ৬ জন। তবে কেবল মোহাম্মদ ওয়াসিম ছাড়া বাকিরা স্রেফ টুকটাক কিছু টি-টোয়েন্টি, দু-একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। সেই অর্থে অভিজ্ঞ নন কেউই। এই দলেও ২-৩ জন ছাড়া সবাই ২১-২২ বছর বয়সী।

সেমিফাইনালে বেশি অভিজ্ঞ দুই দলই হেরে গেছে। অনভিজ্ঞ দুই দল ফাইনালে উঠেছে। সবচেয়ে অনভিজ্ঞ ও তরুণ দল নিয়ে ভারত এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দল। গ্রুপ পর্বে তারা পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতের অধিনায়ক ইয়াশ ধুল, যার নেতৃত্বে গত বছর যুব বিশ্বকাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এরপর রঞ্জি অভিষেকে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন, ২০ বছর বয়সেই যার পরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে বেশ আলোচনা হচ্ছে,  বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়েও দুর্দান্ত,  অধিনায়কত্বেও দেখালেন তিনি আসলেই কতটা পরিণত।

ফাইনালের লড়াই ভিন্ন। তবে ভারত সত্যিকার অর্থেই ইমার্জিং দল নিয়ে টুর্নামেন্টে গিয়ে উদ্ভাসিত হয়েছে।

– ফেসবুক থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link