পালেকেল্লেতে ব্যাটসম্যানদের দাপটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্র করার পর একই ভেন্যুতে আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় টেস্টে আর ড্র নয়; জয়ের জন্যই মাঠে নামবে সফরকারীরা। বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন এই জয়ের জন্য সেশন ধরে ধরে পরিকল্পনা করবেন তারা। তবে, আরেকটা সুযোগ পাচ্ছেন টানা ব্যর্থ ওপেনার সাইফ হাসান।
প্রথম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের রান উৎসবের মাঝেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার সাইফ হাসান। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা সাইফ হাসান দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন এক রান। তবে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় টেস্টে আবার সুযোগ পাচ্ছেন এই ওপেনার। বাংলাদেশের কোচ মনে করেন এই জায়গাতে স্থির হতে একটু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘সাইফ আরো একবার সুযোগ পাচ্ছে। টেস্টে ইনিংস উদ্বোধন করা মোটেও সহজ কাজ নয়। অনেকের এখানে স্থির হতে একটু সময় লাগে। তাই আগামীকাল সাইফকে আরো একটি সুযোগ দেওয়া হবে। উদ্বোধনী জুটিতে ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশনের জন্যও এটা ভালো হবে। তাই সাইফ খেলবে।’
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি এবং তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েও শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের পাল্টা জবাবে প্রথম ম্যাচ ড্র হয়েছে। তাই শ্রীলঙ্কাকে কঠিন প্রতিপক্ষ মেনেও জয় নিয়েই ভাবছে বাংলাদেশের কোচ। ডোমিঙ্গো মনে করেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট জয় হবে দারুণ এক অর্জন।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘অবশ্যই সিরিজ জিততে চাই আমরা। এটি আমাদের জন্য দারুণ এক অর্জন হবে। আমরা জানি সিরিজ জয়ের জন্য অনেক ভাল খেলতে হবে। অবশ্যই শ্রীলঙ্কা নিজেদের মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষ। তবুও আমরা ফোকাস রাখছি সেশন ধরে এগিয়ে যেতে। অবশ্যই লক্ষ্য বিদেশের মাটিতে সিরিজ জেতা।’
দেশের মাটিতে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডে গিয়েও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াটওয়াশ হয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কাতে টেস্ট ড্র করার পর নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
তবে ডোমিঙ্গো টেস্ট ড্র করাকে বিশাল সাফল্য হিসাবে মানতে নারাজ। বাংলাদেশের এই কোচ মনে করেন টেস্টে অবশ্যই জয়ের জন্য খেলতে হবে। এই জন্য মানসিকতার পরিবতর্ন আনাটা প্রয়োজন মনে করছেন ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘দেখুন হতাশার হল ড্র হওয়া একটা টেস্টকে বিশাল সাফল্য হিসেবে যখন দেখা হয়। এটা ঠিক আমরা টেস্ট হারতে চাই না। কিন্তু এই মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের টেস্ট জয়ের জন্য খেলতে হবে। আমি ৬ থেকে ৮ টা টেস্ট পেয়েছি। আমার মনে হয় এখন আমি দলের সবাইকে বুঝতে পারছি। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে, টেস্টে ভাল করার মানসিকতাটা কিভাবে বাড়াতে হবে আমি এই গুলো নিয়ে ভাবছি।’