এশিয়া কাপ হতে পারে বাংলাদেশে

শ্রীলঙ্কার বেহাল অবস্থা। ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে দেশটির অর্থনৈতিক অবকাঠামো। সরকার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে পদত্যাগও করেছে। মাস কয়েক বাদে এশিয়ার এই দেশটতেই আসর বসার কথা এশিয়া কাপের। তবে শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভবও না। এদিকে সুযোগ লুফে নিতে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এশিয়া কাপের এবারের আসরের আয়োজন দেশ হবার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বেহাল অবস্থা। ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে দেশটির অর্থনৈতিক অবকাঠামো। সরকার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে পদত্যাগও করেছে। মাস কয়েক বাদে এশিয়ার এই দেশটতেই আসর বসার কথা এশিয়া কাপের। তবে শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভবও না। এদিকে সুযোগ লুফে নিতে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এশিয়া কাপের এবারের আসরের আয়োজন দেশ হবার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

যদিও ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা (এসএলসি) মনে করছে তারা এটি আয়োজন করতে পারবে। এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও অনেকটাই নিশ্চিত যে শ্রীলঙ্কায় বসছে না এবারের এশিয়া কাপের আসর।

ক্রিকেট ডট কমের মতে, বর্তমান অস্থিরতার মাঝে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপের আসর বসছে না। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আয়োজন দেশ হতে পারে বাংলাদেশ। তবে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিবি) ভাবনায় আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। অবশ্য এশিয়া কাপের সময়ে আমিরাতের তীব্র দাবদাহের কথা মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই আয়োজন করা হতে পারে এবারের আসর।

আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে ছয় দলের লড়াই। দ্বি-বার্ষিক এই টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে চার বছর পর। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে এই দুই দলের আয়োজক দেশ হবার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তীব্র দাবদাহের কথা মাথায় রেখে আরব আমিরাতকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েও অনাগ্রহ এসিসির। শ্রীলঙ্কা ছাড়া বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বাকি থাকে বাংলাদেশ। আর চলমান সংকট সহসা কাটয়ে ওঠার সম্ভাবনাও নেই শ্রীলঙ্কার। তাই সব ঠিক থাকলে হয়ত বাংলাদেশের মাটিতে আবার দেখা যাবে এশিয়া কাপ।
২০১৮ সালে শেষবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে হয়েছিল এশিয়া কাপ।

এসিসির এক কর্মকর্তা ক্রিকেট ডট কমকে জানান, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশই একমাত্র বিকল্প এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবার আগে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এসিসি। আগস্টের শেষ দিকে এবং সেপ্টেম্বরের শুরুতে আরব আমিরাত ম্যাচ আয়োজনের বিকল্প নয়।’

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামি ২৭ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ছাড়াও এসিসির সহযোগী দেশগুলোর একটি অংশগ্রহণের কথা আছে এবারের আসরে।

জ্বালানী সংকট, অর্থনৈতিক ধস, খাদ্য সংকট – সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সমস্যায় মুখ থুবড়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কার অবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসে আছে সাধারণ জনগণ। আগামি দুই মাস এমন দুর্দশায় কাটাতে হবে বলেও জানানো হয় লঙ্কান সরকারের পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় আগস্টে শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপ আয়োজনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এসিসির পরবর্তী বৈঠকেই হয়ত আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

২০২০ সালে টুর্নামেন্টটি হবার কথা থাকলেও, করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল। সেবার আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান। পরে আগামী আগস্টে শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় এসিসি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বর্তমান এই পরিস্থিতিতে হয়ত আয়োজক দেশ হিসেবে সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...