১৭ ওভার শেষেও খেলাটা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে ছিলো।
১৮ বলে ৩২ রান দরকার ছিলো পাকিস্তানের; হাতে ৪ উইকেট। এখান থেকে বাংলাদেশের হারার খুব বেশি কারণ ছিলো না। কিন্তু দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল হাসানের ওপর রোলার চালিয়ে পাকিস্তানের টেল এন্ডাররা তুলে নিলেন জয়।
শেষ পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পেলো পাকিস্তান।
বল হাতে অবশ্য খেলায় প্রাণ সঞ্চার করেন মুস্তাফিজুর রহমানই।
তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজের সোজা বলটায় ব্যাট চালাতে গিয়ে বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১১ বলে ১১ রান করে ফেরেন তিনি। এরপরের ওভারেই তাসকিন হয়তো রিভিউ নিলে বাবর আজমের উইকেট পেয়ে যেতেন। তা হয়নি। পরের বলেই ইনফর্ম পাকিস্তানী অধিনায়ককে বোল্ড করেন তিনি।
পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই মাহেদির বলে এলবিডব্লু হায়দার আলী। আর ৩ বলে শূন্য রান করে রানআউট হন শোয়েব মালিক। পাকিস্তান তখন সম্মুখ পরাজয়ের সামনে দাড়িয়ে ছিলো। ১০ ওভারে শেষে তাদের রান ছিলো ৪ উইকেটে ৪০।
ওখান থেকে জুটি করে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। দু জনই লের চেয়ে রানে পিছিয়ে পড়েছিলেন। মারার চেষ্টা করতেই ৩৬ বলে ৩৪ রান করা ফখরকে ফেরান তাসকিন। আর ৩৫ বলে ৩৪ রান করা খুশদিলকে ফেরার শরিফুল।
এরপর খেলাটা শেষ করে দেয় শাদাব আর নাওয়াজের ব্যাটিং।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করত গিয়ে তুমুল বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। এই ১৫ রান তুলতে তারা খেলে ফেলে ৩০ বল।
নাঈম ৩ বলে ১ রান, সাইফ হাসান ৮ বলে ১ রান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪ বলে ৭ রান করে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক রিয়াদকে নিয়ে একটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। রিয়াদও ১১ বলে ৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে আসেন। এই সময় মনে হচ্ছিলো, বাংলাদেশ আরেকবার এক শ রানের নিচে অলআউট হবে।
কিন্তু এই বিপর্যয়টা সামাল দেন আফিফ ও নুরুল হাসান সোহান। আফিফ ৩৪ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। অন্য প্রান্তে সোহান ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ২টি ছক্কা মারেন। তবে বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ভদ্রস্ত করেন মূলত মাহেদি হাসান।
মাহেদি ২০ বলে ৩০ রানের একটা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। একটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি। আর তাকে ভালো একটা সঙ্গ দেন শেষ ওভারে তাসকিন। তিনি ৩ বলে ৮ রান করেন।
পাকিস্তানের হাসান আলী ২২ রানে ৩টি এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন। আর নাওয়াজ ও শাদাব একটি করে উইকেট তুলে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৭/৭ (আফিফ ৩৬, মাহেদি ৩০, সোহান ২৮; হাসান ৩/২২, ওয়াসিম ২/২৪)।
পাকিস্তান: ১৯.১ ওভারে ১৩২/৬ (ফকর ৩৪, খুশদিল ৩৪; তাসকিন ২/৩১)।
ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী