বোর্ড সভাপতি জানুক কিংবা নাই জানুক, লিটন দাস পৌঁছে গেছেন লাহোরে। এই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই আসছে বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
সেই ম্যাচে কি লিটন খেলবেন? প্রশ্ন এখন এটাই। এখানেই শেষ নয়, আরেকটা প্রশ্ন হল, খেললে কার জায়গায় খেলবেন? প্রথমে স্কোয়াডে তাঁর অন্তর্ভূক্তি লাগবে, এরপরে তিনি আসবেন একাদশে।
সহজ সমাধান ছিল, এনামুল হক বিজয়কে দেশে পাঠিয়ে লিটনকে স্কোয়াডে রাখা। কিন্তু, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া টুর্নামেন্টের মাঝপথে স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার কোনো বিধি নাই। মানে একটা আইনী জটিলতা থেকেই যাচ্ছে।
তবে, একটা পথ খোলা আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানের হালকা চোট আছে। প্রয়োজনে তাদের কাউকে বাদ দিয়ে দলে লিটন দাসকে অন্তর্ভুক্ত করানো হতে পারে।
আপাতত, লাহোরে দলের সাথে ‘রিজার্ভ সদস্য’ হিসেবে থাকবেন লিটন। প্রয়োজনে যাতে মাঠে নামতে পারেন – সেভাবেই তাঁকে প্রস্তুত রাখা হবে। ফলে, পাকিস্তানের বিপক্ষেই লিটন মাঠে নেমে যাবেন কি না – সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এমনিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল টিমের ছাড়পত্র পেয়েই তিনি লাহোর গেছেন। আর দলের অন্যান্যদের ইনজুরির ব্যাপারে দ্রুতই নাকি ফিজিও একটি রিপোর্ট দিয়ে দেবেন। ফলে, লিটন মাঠে নেমে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বিশেষ অনুমতির জন্যও চেষ্টা করছে বিসিবি। যেহেতু লিটনের বদলি হিসেবে যাওয়া এনামুল হক বিজয় এখনও কোনো ম্যাচ খেলেননি, তাই তাঁর জায়গাতেই লিটনকে স্কোয়াডে রাখা যায় কি না – মরিয়া হয়ে সেই চেষ্টাই করছে বোর্ড।
তবে, একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে – লিটন যেহেতু গেছেন, আর বাংলাদেশের সুপার ফোরও নিশ্চিত হয়ে গেছে – ফলে তাঁকে যে করেই হোক ম্যাচ খেলিয়েই ছাড়বে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বিসিবি পরিচালক ও এসিসির টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য আকরাম খান মনে করেন, লিটন এলে তিনি দলে অটো চয়েস হিসেবে যোগ দেবেন, ‘লিটন এলে ও অটো চয়েস হিসেবে থাকবে। টিম ম্যানেজমেন্ট আছে, ওনারা চিন্তা করবেন কাকে ওপেনে খেলাবেন। মিরাজ তো ওই দিন ভালো খেলেছে। নাঈম খেলবে কি না সেটা নিশ্চিত করবে টিম ম্যানেজমেন্ট।’
এর অর্থ হল, একাদশ থেকে মোহাম্মদ নাঈম শেখ জায়গা হারাতে যাচ্ছেন। আর লিটনের খেলা একরকম নিশ্চিত!