বছর জুড়ে নেতৃত্বের দাপট

একটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সম্মানজনক বিষয় একজন ক্রিকেটারের জীবনে আর কিই বা হতে পারেন বলুন। একটা দেশের জাতীয় দলে আশার রাস্তাটাও তো খুব বেশি মসৃণ নয়। কত চড়াই-উৎরাই পেরিয়েই তো মেলে সেই পতাকা খচিত জার্সিটি। নিজের ব্যক্তিগত সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে হয়, হতে হয় দলের একজন। আর দলের একজন হয়ে দলকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার পদ প্রদর্শক হতে গেলেও দরকার পড়ে অধ্যবসায়ের। সেই সাথে আরো নানান রকমের গুণ।

একটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সম্মানজনক বিষয় একজন ক্রিকেটারের জীবনে আর কিই বা হতে পারেন বলুন। একটা দেশের জাতীয় দলে আশার রাস্তাটাও তো খুব বেশি মসৃণ নয়। কত চড়াই-উৎরাই পেরিয়েই তো মেলে সেই পতাকা খচিত জার্সিটি। নিজের ব্যক্তিগত সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে হয়, হতে হয় দলের একজন। আর দলের একজন হয়ে দলকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার পদ প্রদর্শক হতে গেলেও দরকার পড়ে অধ্যবসায়ের। সেই সাথে আরো নানান রকমের গুণ।

সবকিছুর মেলবন্ধন ঘটিয়েই একজন ক্রিকেটার থেকে হতে হয় অধিনায়ক। সে দায়িত্বে সফল হওয়াও তো চাট্টিখানি কথা নয়। আজকে এমন সফল কিছু অধিনায়কদের নিয়েই রয়েছে আলোচনা। যারা কিনা সফলতায় বাকি সবাইকে ছাড়িয়ে সর্বাধিকবার জায়গা করে নিয়েছিলেন আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে অধিনায়ক হিসেবে। চলুন আগে টেস্টে সর্বাধিকবার বর্ষসেরা অধিনায়কদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়কদের একজন হিসেবে গন্য করা হয় রিকি পন্টিং-কে। তাঁর অধিনায়কত্বকালীন সময়েই অস্ট্রেলিয়া যেন ছিলো অপ্রতিরোধ্য। ২০০৭-২০১০ সাল পন্টিং সাদা পোশাকে অজিদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৭৭ টি ম্যাচে।

যার মধ্যে থেকে ৪৮ টি ম্যাচ জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। তাঁর এমন ভূয়সী নেতৃত্বের সম্মাননা হিসেবে রিকি পন্টিং তিনবার জায়গা করে নিয়েছিলেন টেস্টের বর্ষসেরা একাদশে একজন অধিনায়ক হিসেবে। ২০০৪ ও ২০০৫ টানা দুই বছরের পর তৃতীয় বার বর্ষসেরা অধিনায়ক হয়েছিলেন ২০০৭ সালে।

  • অ্যালিস্টেয়ার কুক (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টেয়ার কুকও তিনবার হয়েছিলেন বর্ষসেরা অধিনায়ক। ইংল্যান্ড জাতীয় টেস্ট দলের এক ভরসার নাম ছিলেন কুক। ব্যাটিং অর্ডারের সূত্রপাত করা ছাড়াও ২০১০-১৬ এই ছয় বছর দলকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি।

তাঁর অধীনে ৫৯টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলো থ্রি লায়ন্স। জয় পরাজয়ের পরিসংখ্যান খুব কাছাকাছি। ২৪টি জয়ের বিপরীতে হার ২২টিতে। তবুও ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে তিনি হয়েছিলেন বিশ্ব টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক।

  • বিরাট কোহলি (ভারত)

সম্প্রতিই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়ে ভারতের এ সময়ের সবচেয়ে সফলতম ব্যাটার বিরাট কোহলি। শুধু মাত্র একজন ব্যাটার হিসেবেই নয় একজন অধিনায়ক হিসেবেও তিনি সফলদের একজন। সর্বকালের আন্তর্জাতিক টেস্টের পরিসংখ্যানে তিনি তৃতীয় সফল টেস্ট অধিনায়ক।

প্রায় সাত বছরের অধিনায়ক ক্যারিয়ারে ৬৮ ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে বিরাট জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েছিলেন ৪০ বার। তাঁর অধীনে ১৭ বার পরাজয় দেখেছিলো টিম ইন্ডিয়া। বিরাট ও এই তালিকায় থাকা বাকিদের মতো তিনবার হয়েছিলেন বর্ষসেরা অধিনায়ক। ২০১৭-১৯ টানা তিন বছর বিরাট ছিলেন অটল।

২০০৪ সাল থেকে টেস্টের বর্ষসেরা একাদশ ঘোষণা করার পাশাপাশি ওয়ানডেতেও বর্ষসেরা একাদশ ঘোষণা করে আসছে আইসিসি। সেই দিক বিবেচনায় ওয়ানডেতেও সর্বাধিকবার বর্ষসেরা অধিনায়কদের একটা তালিকা তৈরি করা যায় অনায়াসে।

  • রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়াকে দুইটি বিশ্বকাপ জেতানোর পথপ্রদর্শক ছিলেন রিকি পন্টিং ২০০৩ ও ২০০৭ সালে তাঁর নেতৃত্বেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিলো অজিরা। তাছাড়া তিনি সর্বাধিক ২৩০টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন একজন অধিনায়ক হিসেবে।

জয়ের পরিসংখ্যানে তাঁর উপরে রয়েছেন কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি লড ক্লাইভ। পন্টিং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জোড়ে চার বার হয়েছিলেন বর্ষসেরা অধিনায়ক।

  • বিরাট কোহলি (ভারত)

যদিও দলকে কোন বড় শিরোপা এনে দিতে পারেননি বিরাট কোহলি তবুও ধারাবাহিক সাফল্য বিবেচনায় তিনি ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের একজন নি:সন্দেহে। সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক বিরাট মাঠে নেমেছিলেন ৯৫ বার। এর মধ্যে জয়ের শতকরা হিসেব ৭০ এর বেশি। ২০১৬-১৯ এই টানা চার বছর বিরাট হয়েছিলেন বর্ষসেরা ওয়ানডে অধিনায়ক।

  • মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)

একজন অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেটের বৈশ্বিক যতগুলো আয়োজন রয়েছে সে সব শিরোপার সবগুলোই জিতেছেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতকে তিনি দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ও প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়নও করেছেন।

তিনি ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। সংখ্যাটা ২০০। এছাড়া পাঁচবার তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন আইসিসি বর্ষসেরা অধিনায়ক।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...