করোনা মহামারির কারণে লম্বা সময় মাঠে গড়ায়নি ক্রিকেট। বিশেষ করে গতবছর অনেকগুলো আন্তর্জকাতিক ম্যাচ বা টুর্নামেন্টই পেছাতে হয়েছিল। তবে এবছর আন্তুর্জাতিক ক্রিকেট বেশ ব্যস্ত আসময় পার করেছে। গতবছরের জমে থাকা অনেক ম্যাচও এবছর আয়োজিত হয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মত আসর গুলোও বসেছে এবছর।
ফলে সবমিলিয়ে এবছর বেশ রমরমা ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে ক্রিকেট মাঠে বেশি গড়ালেও বিতর্কও ছিল অনেক। ক্রিকেটের অনেক বড় বড় বিতর্কের সাক্ষী হয়েছে এবছর। ২০২১ সালে ক্রিকেটের এই বিতর্কগুলোকেই এক করেছে খেলা৭১।
- অজিদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
এই বছর টেস্ট সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সেই সফর শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটারদের স্বাস্থঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সেই সিরিজ বাতিল করেছিল অজিরা।
শেষ মুহূর্তে অজিদের ভেমন সিদ্ধান্তে বেশ বড় আংকের ক্ষতির মুখেই পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া সেই টেস্ট না খেলার খেসারত অজিদেরও দিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারেনি অজিরা।
- করোনার মাঝেও আইপিএল
এ বছর আইপিএল হয়েছে দুই দফায়। প্রথম আইপিএল শুরু হওয়ার পর ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। একটা সময় ভারতে করোনার অবস্থা খুবই খারাপের দিকে চলে যায়। তখন অনেকেই আইপিএল বন্ধ করে দেয়ার জন্য বলতে থাকে।
তবে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর মাঝেও আইপিএল চালিয়ে যায়। তখন আইপিএল চালানো ঠিক কি ঠিক না সেটা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত মাঝপথেই আইপিএল থামাতে হয় ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে।
- রমিজ রাজা
এ বছর প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের প্রিয়পাত্র পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রমিজ রাজা। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার সেপ্টেম্বর মাসেই দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণ নিয়ে পাকিস্তানে নানারুম আলোচনা-সমালোচনাই শোনা যায়।
বিশেষ করে তখন পাকিস্তানের কোচিং স্টাফ ব্যাপারটা ভালো ভাভে নেয়নি। বিশ্বকাপের মাত্র মাসখানেক আগে হেড কোচ মিসবাহ উল হক পদত্যাগ করেন। এছাড়া বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসও পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে সবমিলিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।
- ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স
এবারের বিশ্বকাপের বর্ণবাদ নিয়ে নতুন এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্রিকেটাররা ম্যাচ শুরুর আগে হাটু গেড়ে বসে সমর্থন জানাতেন।
তবে এক ম্যাচে সেটি করতে অস্বীকার করেন কুইন্টন ডি কক। পরে সেই ম্যাচে মাঠেও নামেননি এই ক্রিকেটার। তবে এরপর আবার নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এই ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে পরের ম্যাচেই আবার মাঠেন নামেন তিনি।