মারাকানায় ‘মেসির পা’ সংরক্ষণ করতে চায় ব্রাজিল

সেবার মারাকানা স্টেডিয়ামে বিমর্ষ মেসির ছবিটি কাঁদিয়েছে দুনিয়া জুড়ে মেসির সমর্থকদের। তবে এবার সেই মারাকানা স্টেডিয়ামেই ক্ষুদে জাদুকরের পায়ের ছাপ সংরক্ষণের পরিকল্পনা চলছে।

গল্পটা লেখা হতে পারতো ২০১৪ সালেই। প্রায় একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেও শিরোপার খুব কাছ থেকে ফিরতে হয় ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে। সেবার মারাকানা স্টেডিয়ামে বিমর্ষ মেসির ছবিটি কাঁদিয়েছে দুনিয়া জুড়ে মেসির সমর্থকদের। তবে এবার সেই মারাকানা স্টেডিয়ামেই ক্ষুদে জাদুকরের পায়ের ছাপ সংরক্ষণের পরিকল্পনা চলছে। মেসিকে মারাকানায় আসার আমন্ত্রণও পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যেই।

৮ বছর আগে ফিরেছিলেন হাত ছোঁয়া দুরত্ব থেকে। অসাধারণ বিশ্বকাপ কাটানো মেসি সেদিন মারাকানা স্টেডিয়ামেই জিততে পারতেন বিশ্বকাপ। ৮ বছর আগেই সর্বকালের সেরার খেতাব করে নিতে পারতেন একক মালিকানাধীন।

বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতেও বিশ্বকাপের সেই সোনালি ট্রফির পাশ দিয়ে বিমর্ষ অবস্থায় হেঁটে গিয়েছিলেন মেসি। মারাকানা স্টেডিয়ামের সেই দৃশ্য আজও মনে রেখেছেন কোটি কোটি ফুটবল ভক্ত।

২০১৮ সালে ভুলে যাবার মত বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন রাশিয়ায়। তবে এবার নিজের শেষ বিশ্বকাপে যেন পণ করে নেমেছিলেন বিশ্বকাপ জেতার। অতিমানবীয় এক বিশ্বকাপ কাটিয়ে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ। নিজের ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব কিছুই জিতেছেন মেসি। বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে সর্বকালের সেরা হিসেবে অনেকটাই নিজের নাম পাঁকা করে ফেলেছেন।

৮ বছর আগের মেসির সেই দু:স্বপ্নের মঞ্চ মারাকানা স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ এবার চাচ্ছে মেসির পায়ের ছাপ মারাকানায় সংরক্ষণ করে রাখতে। রিও ডি জেনিরোতে আসার জন্য মেসিকে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মারাকানা স্টেডিয়ামের সেই বিখ্যাত ‘হল অব ফেম’ এ জায়গা পেতে যাচ্ছেন মেসি।

বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামের ‘হল অব ফেম’-এ ইতোমধ্যে পায়ের ছাপ সংরক্ষিত আছে বেশ কয়েকজন ফুটবল কিংবদন্তীর। তাদের মধ্যে আছেন পেলে, রিভেলিনো, গারিঞ্চা, ইউসেবিও, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, রোনালদো নাজারিও, এলিয়াস ফিগুয়েরোয়া, দিয়ান পেতকোভিচের মত ফুটবলাররা।

রিও ডি জেনিরোর স্টেট স্পোর্টস সুপারিটেনডেন্স-এর প্রেসিডেন্ট আদ্রিয়ানো সান্তোসের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের কাছে। ব্রাজিলের এই স্টেট স্পোর্টস সুপারিটেনডেন্স মারাকানা স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণের কাছে নিয়োজিত। আদ্রিয়ানো সান্তোস বলেন, ‘মেসি নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। সে ফুটবল ইতিহাসের অংশ। মারাকানায় তার পায়ের ছাপ সংরক্ষেণের মাধ্যমে তাকে সম্মান জানানো হবে।’

ফুটবলে আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দুই প্রতিবেশির মধ্যে ফুটবল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও মেসির মত অনন্য ফুটবল প্রতিভাকে সম্মান জানাতে কুণ্ঠাবোধ করেনি ব্রাজিল। প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে মারাকানার ‘হল অব ফেম’ মেসির পায়ের ছাপ সংরক্ষণ করে মেসির ক্যারিয়ারের অসামান্য অর্জনকে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছে ব্রাজিল।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...