মর্ডান ডে লিজেন্ড

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়েই ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ১২ তম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন বিরাট। ২০০৮ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ৯৯ টেস্ট, ২৬০ ওয়ানডে ও ৯৭ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই তারকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০৬০ দিন পার করেছেন বিরাট।

সময়টা ভাল যাচ্ছে না তাঁর। দলের অধিনায়ক তিনি নন। কেউ কেউ পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তবে, একটা ব্যাপার ঠিক বিরাট অধিনায়ক থাকুন, বা নাই থাকুন – তিনি মর্ডান ডে লিজেন্ড!

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়েই ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে নেমে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ১২ তম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন বিরাট। ২০০৮ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ৯৯ টেস্ট, ২৬০ ওয়ানডে ও ৯৭ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই তারকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০৬০ দিন পার করেছেন বিরাট।

তিন ফরম্যাটেই বিরাটের ব্যাটিং গড় ৫০ এর উপর। সাবেক এই অধিনায়ক এখন পর্যন্ত ৭০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছেন। শততম টেস্টের আগে বিরাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই লম্বা সময়ের কিছু স্মৃতি ফিরে দেখা যাক, আর বোঝা যাক কেন তিনি আধুনিক কালের অন্যতম সেরা।

  • টেস্ট ক্যারিয়ারে সাদামাটা শুরু

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের প্রায় ৩ বছর পর ২০১১ সালে টেস্টে অভিষিক্ত হন বিরাট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে স্যাবাইনা পার্কে টেস্টে অভিষিক্ত হন তিনি। তিন টেস্টে করেছিলেন মোটে ৭৬ রান! ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের সামনে সেবার ভীত গড়তে পারেননি এই ভারতীয় ব্যাটার। পরের ইংল্যান্ড সিরিজেই দল থেকে বাদ পড়েন বিরাট!

  • দুর্দান্ত কামব্যাক

মাস কয়েক পরেই টেস্টে পুনরায় সুযোগ পান বিরাট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পান তিনি। সুযোগ পেয়ে দুই ইনিংসেই করেন ফিফটি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেডে খেলেন অসাধারণ ১১৬ রানের ইনিংস। ওই সিরিজে অজিদের বিপক্ষে ৪-০ তে হারলে দলের হয়ে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বিরাট।

দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দুর্দান্ত খেলেন তিনি। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ১০ ইনিংসে করেন মোটে ১৩৪ রান! অবশ্য ৪ বছর পর ২০১৮ সালে ১০ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের মাটিতে ৫৯৩ রান করে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন বিরাট।

  • অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের সাফল্য

২০১৪-১৫ অস্ট্রেলিয়া সফরে মহেন্দ্র সিং ধোনির জায়গায় অ্যাডিলেডে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান বিরাট কোহলি। ওই টেস্টের দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অধিনায়ক হিসেবে দারুন শুরু করেন বিরাট। ধোনির অবসরের পর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পান বিরাট।

এরপর প্রায় সাত বছর অধিনায়কত্ব শেষে চলতি বছর টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিরাট। বিরাটের অধীনে ৪০ টেস্টে জয় পেয়েছে ভার‍ত, জয়ের হার ৫৮.৮%! জয়ের হারের দিক থেকে বিরাটের সামনে শুধু রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়াহ ছিলেন! ভারতেরই নয় বিশ্বের অন্যতম সেরা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বিরাট। বিরাটের অধীনে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলো ভারত।

মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে খেলতে নামবেন এই ভারতীয় তারকা। দর্শক থাকুক না থাকুক, সেঞ্চুরি হোক না হোক, অধিনায়ক হিসেবে কিংবা শুধু ব্যাটার – সবার অপেক্ষা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম এই সেরা তারকা ক্রিকেটারের এই মাইলফলক স্পর্শের!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...