অধিনায়কত্বের চাপে পিষ্ট শাহীন শাহ
একের পর এক ম্যাচ হেরে টেবিলের তলানিতে পৌঁছে গিয়েছি দলটি, এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে সবকয়টিতেই হেরেছে লাহোর। অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি আগের মত নেতৃত্বের মুন্সিয়ানা দেখাতে পারছেন না; হয়তো অধিনায়কত্বের আনন্দ হুট করেই তাঁর জন্য চাপে রূপ নিয়েছে।
আগের বারের চ্যাম্পিয়ন অথচ এবার কিছুতেই ভাগ্য ফিরছে না লাহোর কালান্দার্সের। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নবম আসরে একের পর এক ম্যাচ হেরে টেবিলের তলানিতে পৌঁছে গিয়েছি দলটি, এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে সবকয়টিতেই হেরেছে তাঁরা। অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদিও নেতৃত্বের মুন্সিয়ানা দেখাতে পারছেন না; কি জানি, হয়তো অধিনায়কত্বের আনন্দ হুট করেই চাপে রূপ নিয়েছে।
প্রায় প্রতি ম্যাচেই লাহোরের ব্যাটাররা ভাল পারফরম করছেন, নিজেদের সেরাটা দিচ্ছেন। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় বারবার জয়ের কাছাকাছি এসে হতাশ হতে হচ্ছে দলটিকে। ধারণা করা হচ্ছে অধিনায়কের সঙ্গে বোলারদের বোঝাপড়া ভাল না হওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। ফিল্ড সেটআপ কিংবা বোলিং চেঞ্জ কোন দিকেই বোলারের সঙ্গে তাঁর সমন্বয় হচ্ছে না।
কখনো দেখা যায় বোলাররা লেগ সাইডে বল করছেন, কিন্তু ফাইন লেগ ত্রিশ গজের মধ্যে আছে। আবার কখনো এর উল্টোটা দেখা যায়; বোলার হয়তো অফ সাইডে বল করছেন, ফাইন লেগ তখন বাউন্ডারিতে। ফিল্ড সেটআপে এসব ভুল থাকায় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা সম্ভব হচ্ছে না, যার ফলে ম্যাচও জিততে পারছে না শাহীনের দল।
পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও এই বাঁ-হাতি শতভাগ দিতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে নয় উইকেট শিকার করেছেন ঠিকই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তোলার কাজটা করতে পারেননি।
এছাড়া আঁটসাঁট বোলিং করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি, এবারের পিএসএলে প্রতি ওভারে খরচ করেছেন ৮.৩৩ রান। সবমিলিয়ে এখন নেতৃত্বের চাপ সামাল দিয়ে পারফরম করাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর জন্য।
অধিনায়কত্ব কি সত্যিই শাহীন শাহ আফ্রিদির পারফরমার হয়ে উঠার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে – এই প্রশ্নের উত্তর তিনিই ভাল দিতে পারবেন। যদি উত্তরটা হ্যাঁ হয় তবে সেটা মেনে নিয়ে সরে দাঁড়ানো বোধহয় ভাল হবে। কেননা অধিনায়ক শাহীনের চেয়ে বিধ্বংসী পেসার শাহীনকেই বেশি দরকার লাহোর এবং পাকিস্তানের।